Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ড সংগ্রহে ২৭২ কোটি টাকা চায় ইসি

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৪০

ঢাকা: প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে ২৭১ কোটি ৫১ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ প্রকল্পের অনুকূলে বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা বা নতুন প্রকল্পের বরাদ্দ (থোক) থেকে এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ড ও এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি মেয়াদ শেষ হয়ে যায় গত ৩০ জুন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়িয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, গত অর্থবছরের এডিপিতে এই টাকাটা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু কার্ড সংক্রান্ত নানা জটিলতায় সেই টাকা খরচ করা যায়নি। এখন জটিলতা কেটে যাওয়ায় আমরা আগামী তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে কার্ডগুলো আনতে চাচ্ছি। সেজন্যই এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি কোনো বাড়তি টাকা নয়। এ প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ থাকা টাকাই চাওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্পটির আওতায় কোনো বরাদ্দ নেই, সেহেতু থোক থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২৩ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি গত ৩০ জুন সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া একবছর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। ইতোমধ্যেই প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। কিন্তু যেহেতু প্রকল্পটি ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্তের জন্য নির্ধারিত ছিল সেহেতু এটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৬৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। গত জুন মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে অব্যয়িত থেকে যায় ২৭২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আইডিইএ প্রকল্পের চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে রাজস্ব খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ওবারথার টেকনোলজিস/আইডেমিয়ারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন চুক্তির মাধ্যমে ১ কোটি ৩৪ লাখ ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ড সংগ্রহ ও আরবিট্রেশন ব্যয়, সিএনএফ এজেন্ট, বেতন/ভাতাদি ও অন্যান্য অপারেশনাল ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ওবারথার টেকনোলজিস/আইডেমিয়ার কাছ হতে ১ কোটি ৩৪ লাখ ব্ল্যাঙ্ক কার্ড সংগ্রহের জন্য সিডি/ভ্যাট বাবদ ৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। মূলধন খাতে সিডি ভ্যাট ছাড়া অন্যান্য উপখাতে ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার মধ্যে কম্পিউটার ও আইসিটি সামগ্রী সংগ্রহ, বাংলাদেশে ভোটার নিবন্ধন লাইসেন্স ও সাপোর্ট সার্ভিস, ওরাকল সাপোর্ট সার্ভিস ইত্যাদি বাবদ অর্থের সংস্থান রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রকল্পটির অনুকূলে চলতি এডিপি/আরএডিপিতে (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অথবা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ২৭২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। এজন্য একটি ছকও দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১১ সালের জুলাই মাসে।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ড

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর