বাংলাদেশের ডিজিটাল সিস্টেম আমেরিকার চেয়েও ভালো: প্রধানমন্ত্রী
৪ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৭
ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কনফারেন্সসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও সুন্দর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কনফারেন্স করতে শুরু করেছিলাম। এখানে চমৎকার সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে আমি আমেরিকায় গিয়েও ডিজিটাল মাধ্যমে কনফারেন্স করলাম। সেখান থেকেও তো আমাদের এখানে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে।’
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের ব্যাঙ্গ করা হলো। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ কি বাস্তবায়ন হয়নি? আমরা তো সবকিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের সময় যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সবকিছু করেছি। প্রতিটি জেলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।’
চলমান সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরও তো এখন কষ্ট নেই। এখনই মেসেজ পাঠিয়ে দিচ্ছেন, নিউজ হয়ে যাচ্ছে। কথা বলে রেকর্ড করে নিচ্ছেন, কারেকশন করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।’
এ সময় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দেখলাম, করোনার কারণে বিচারকাজ থেমে আছে তখন আমরা ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করলাম। প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাব দিলাম, ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করুন। এখন একে আরও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উপদেষ্টা (প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়) কাজ করছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ কাজে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমরা নিজেদের টাকাতেই এটি করব। এটি নিয়ে কাজ চলছে।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি হয়ে শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়েই মতবিনিময় করতেই এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গণভবনে প্রান্তে সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সেখানে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তেও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। দুই স্থানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছ থেকেই প্রশ্ন নিয়ে উত্তর দেন সরকারপ্রধান।
সারাবাংলা/টিআর
জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন