করোনার ‘শূন্য সংক্রমণ’ সম্ভব নয়— স্বীকার করলেন জেসিন্ডা আর্ডেন
৪ অক্টোবর ২০২১ ২১:০০
করোনাভাইরাস থেকে এখনই পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ কথা স্বীকার করে নিল নিউজিল্যান্ডও। বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন অকল্যান্ড শহরে লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্ট যে দীর্ঘ দিন ধরে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেও আমরা শূন্য সংক্রমণের অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি।’
তিনি জানান, যদিও লকডাউন মহামারি পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি তবুও লকডাউনের প্রয়োজন ছিল। জেসিন্ডা আর্ডেন বলেন, ‘লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঠিক আছে, কারণ তখন আমাদের হাতে ভ্যাকসিন ছিল না।’
উল্লেখ্য যে, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। প্রায় ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ শতাংশ নাগরিক কমপক্ষে এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আর ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন মাত্র ৪৫ শতাংশ মানুষ।
এরইমধ্যে জেসিন্ডা আর্ডেনের পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে অকল্যান্ডে করোনা বিধিনিষেধ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শিথিল হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ দিন পর বাড়ির বাইরে একসঙ্গে জড়ো হতে পারবেন শহরের বাসিন্দারা। এদিন থেকে অকল্যান্ড শহরের বেশিরভাগ কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে। এদিন সমুদ্র সৈকতেও ঘুরতে যেতে পারবেন শহরবাসীরা।
পর্যায়ক্রমে শহরের খুচরা দোকান এবং পরবর্তীতে বার ও রেস্তরাঁগুলো খোলে দেওয়া হবে বলে জানান জেসিন্ডা আর্ডেন। তবে এ বিষয় কোনো দিন তারিখ এখনই জানাননি তিনি।
উল্লেখ্য যে, ভ্যাকসিন প্রদানে পিছিয়ে থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সার্বিকভাবে সফল দেশগুলোর মধ্য অন্যতম নিউজিল্যান্ড। সেদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন।
তবে এমন এক দিন জেসিন্ডা আর্ডেন অকল্যান্ডে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিলেন যেদিন দেশটিতে আরও ২৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এর আগে গত বছরের জুনে তার দেশকে সাময়িক করোনামুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন জেসিন্ডা আর্ডেন। তবে গত ১৭ আগস্ট নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন শনাক্ত হওয়ায় ফের লকডাউন ঘোষণা করেন তিনি। ওইদিন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে জনবহুল শহর অকল্যান্ডে এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। এর পর লকডাউনের মধ্যেও অকল্যান্ডে সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন
সারাবাংলা/আইই