যশোর: চুয়াডাঙ্গার আলোচিত দুই গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসি কার্যকরের আগে ডিআইজি প্রিজন ছগির মিয়া, জেলা ও দায়রা জজ আসিফ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিনসহ সরকারি কর্মকর্তারা কারাগারে প্রবেশ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই দণ্ডিতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জোরগাছা হাজিরপাড়া এলাকায় গৃহবধূ কমেলা বেগম ও ফিঙে বেগম হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় কমেলা বেগমের মেয়ে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে হত্যার আগে গণধর্ষণের তথ্য উঠে আসে। পুলিশ এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের আজিজ, মিন্টু, মহিউদ্দিন ও সুজন নামে চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালে আসামি মহিউদ্দিন মারা যান। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করলে হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন। আদালত আসামি সুজনকে খালাস দেন এবং আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। এরপর রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ গত ৬ সেপ্টেম্বর ফাঁসি কার্যকর করতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারকে নির্দেশনা দেয়। সেই মোতাবেক সোমবার রাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।