ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ১৫ মাস পর অভিযুক্তের জামিন
৫ অক্টোবর ২০২১ ১৮:২৮
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধনকে মাসে দুই বার নিম্ন আদালতে হাজির থাকার শর্তে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) এই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ আলম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
জামিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আলম টিপু আদালতকে বলেন, এ মামলার প্রায় সব আসামির জামিন হয়েছে। কিন্তু তিনি (মোহাইমিনুল) ১৫ মাস ধরে কারাগারে আছেন। শুনানি শেষে আদালত শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস কোনো মানুষের কাজ নয়। এসব বিষয়ে জামিন চাইতে আমার কোর্টে আসবেন না।’
এর আগে, ২০২০ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাবি, মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধানসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারদের মধ্যে ছিলেন— চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া ওরফে মুন্নু, তার সহযোগী পারভেজ খান, জাকির হোসেন দিপু, মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন এবং এসএম সানোয়ার হোসেন। এর মধ্যে মোহাইমিনুল ও সানোয়ার ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিলেন।
সেই সময় জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় গ্রেফতার ৪৭ জনের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রটির সন্ধান পায় সিআইডি। ১৯ জুলাই ওই চক্রের সদস্য এস এম সানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
জিজ্ঞাসাবাদে সানোয়ার ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন, পারভেজ খান, জাকির হোসেন ও মোহাইমিনুলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম