চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে সম্পাদিত ‘তাইওয়ান চুক্তি’মেনে চলতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং’র সঙ্গে কথা বলার পর এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি।
এ সময় ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। জো বাইডেনের এই অবস্থান তাইওয়ানের চেয়ে চীনের স্বার্থই বেশি রক্ষা করে। তবে এই চুক্তিটি ওয়াশিংটনকে তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক’ সম্পর্ক বজায় রাখার অনুমতি দেয়।
অতি সম্প্রতি তাইওয়ান এবং বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমি শি’র সঙ্গে তাইওয়ানের বিষয়ে কথা বলেছি। তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে আমরা একমত। আমি মনে করি না যে, চুক্তি মেনে চলা ছাড়া আমাদের অন্য কিছু করা উচিত- এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি।’
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রর সম্পর্কের মূলভিত্তি ‘এক চীন’ নীতি বলে মনে করে জো বাইডেন ও শি জিন পিং। এটি চীনের স্বতন্ত্র একটি নীতি। যার ফলে চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ, যা একদিন আবারও একদিন চীনের সঙ্গে মিলিত হবে বলে মনে করে চীন।
আরও পড়ুন: চীনের ব্যাপারে বিশ্বকে হুঁশিয়ার করল তাইওয়ান
ফের তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ৫৬টি বিমান
এর আগে টানা চারদিন ধরে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা জোনে রেকর্ড সংখ্যাক যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের আগে দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্টের জন্য একটি সতর্কবাণী হিসেবে চীন এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, সামরিক বাহিনী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। দেশটি নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে। তবে তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে মনে করে বেইজিং। এই দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত করার জন্য সম্ভাব্য শক্তির ব্যবহারের বিষয়টি কখনো অস্বীকার করেনি চীন।