Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: তিন গ্রাহকের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই টাকা নিয়ে পরে বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় ই-অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মো. রেজার আদালতে এই মামলা দায়ের করেন প্রতারণার শিকার নুরুল আবছার পারভেজ নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী মোহাম্মদ গোলাম মওলা।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযুক্ত সাতজন হলেন- প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও প্রধান নির্বাহী সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান, তার ভাই সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।

ই-অরেঞ্জের প্রতারণা ও জালিয়াতি নিয়ে আলোচনা ও আইনগত প্রক্রিয়া শুরুর পর ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ তাকে আটক করে। তার বোন সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহ কারাগারে আছেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ গোলাম মওলা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী নুরুল আবছার পারভেজ নিজের পাশাপাশি প্রতারণার শিকার ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মোর্শেদ সিকদার এবং মাহমুদুল হাসান খানের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৭ মে থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের পর এমনকি অদ্যাবধিও তারা এসব গ্রাহকদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ করেনি।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বাদি নুরুল আবছার চারটি পৃথক অর্ডারে চারটি মোটরসাইকেলের জন্য এক লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা করে মোট ৫ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা, ১০টি গিফট ভাউচারের জন্য ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা গ্রহণ করে ই-অরেঞ্জ পণ্য সরবরাহ করেনি। মোরশেদ সিকদার একটি মোটর সাইকেলের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আরও দুটি মোটর সাইকেলের জন্য ১ লাখ ৮ হাজার ৯০০ টাকা করে মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা, মোবাইল সেটের জন্য ৮ হাজার ৯৯০ টাকা, ১৯টি স্বপ্ন ভাউচারের জন্য ৫৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে ই-অরেঞ্জ কোনো পণ্য দেয়নি।

এছাড়া আরেক গ্রাহক মাহমুদুল হাসান খান দুটি মোটর সাইকেলের জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা প্রদান করে পণ্য বুঝে পাননি। তিন গ্রাহক মিলিয়ে ই-অরেঞ্জ ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

ই-অরেঞ্জ

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর