Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রদীপের জামিন হয়নি

স্পেশাল করেসপন্ডেট
৭ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৫৭

চট্টগ্রাম আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ | শ্যামল নন্দী-সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জ্ঞাত আয়বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে বিচারিক আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করা হয়, আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই মামলায় পলাতক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ-১ শেখ মো. আশফাকুর রহমানের আদালত এই নির্দেশনা দেন।

এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মাহমুদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তারা বিরোধিতা করেছেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। ৭ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু প্রদীপ অর্জিত কোনো সম্পদ পাচার, হস্তান্তর কিংবা স্থানান্তর করেননি তাই জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

এর আগে, দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে প্রদীপ ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক থাকা প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনও প্রদীপের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ হয়।

মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ করে। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়।

তদন্তের পর প্রদীপের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং সেই সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া উভয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা
উল্লেখ করে দুদক।

অভিযোগপত্রে চুমকি কারণের নামে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটায় দুই কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা দামের ছয়তলা বাড়ি, পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহর এলাকায় এক কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা দামের জমি এবং কক্সবাজারের ঝিলংঝা মৌজায় ১২ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ টাকার একটি ফ্ল্যাটের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

অভিযুক্ত প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন রয়েছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তবে প্রদীপের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মারা যান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ওই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন তিনি। ওই মামলায় কক্সবাজারের আদালতে ইতোমধ্যে প্রদীপসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/একেএম

প্রদীপ কুমার দাশ মেজর সিনহা হত্যা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর