Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গরিবের তালিকা তৈরিতে গড়িমসি

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপনডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০২১ ১০:০২

প্রতীকী ছবি | ইন্টারনেট

ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পের আওতায় দেশের গরিব মানুষের তালিকা তৈরি কাজ চলছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও নানান জটিলতায় গরিব মানুষের তালিকা তৈরি করতে পারেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো।

এর আগে, কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে সাড়ে চার বছরের জরিপ প্রকল্প সাড়ে ৯ বছরে নিয়ে ঠেকানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই, প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৩৯৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠক করে জানিয়েছে, গরিব মানুষের তালিকা তৈরিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। সেই অনুসারে প্রকল্পের মেয়াদও বেড়েছে।

জানতে চাইলে বিবিএস’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, কাজটা শুধুমাত্র পরিসংখ্যান ব্যুরোর নয়, এর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। আর যে প্রতিষ্ঠান জরিপের কাজ করছে তাদের সঙ্গে বিবিএস’র চুক্তি নেই। প্রতিষ্ঠানটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারা সময়মতো কাজ করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।

এদিকে এনএইচডি প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে তিন ধাপে সারাদেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ডাটাবেজও তৈরি আছে। ডাটাবেজের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এমআইএস এখনো প্রস্তুত না হওয়ায় কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।

২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের এসএমওডিআরপিএ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান সাইনারজি-সাইনিস(জেভি) এমআইএস তৈরির কাজ করছে। চুক্তির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানোর পর চলতি বছরের ৩০ জুন মাসে সময় শেষ হয়ে গেলেও নির্ধারিত কাজ শেষ হয়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে চার বছর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রথম দফায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ে। একইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকায়। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকাতে। ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই তৃতীয় দফায় এ বছরের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু, কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার পরও তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় আরও এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/একেএম

গরিবের তালিকা ন্যাশনাল হাউজহোল্ড সার্ভে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর