শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে অস্ট্রেলিয়াকে বিজিএমইএ’র আহ্বান
৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:৩০
ঢাকা: এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ১২ বছর পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিজিএমইএর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘৫০-এ বাংলাদেশ: টেস্ট কেস থেকে ডেভেলপমেন্ট রোল মডেল’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার সম্মেলনে ‘পোশাক শিল্প- কোভিড-১৯ এর বাইরে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার ৬টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড এবং ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি ৭ থেকে ৮ অক্টোবর দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে।
মূল উপস্থাপনা সেশনে সভাপতিত্ব করেন মোনাশ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমরিক সোহাল এবং আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শামস রহমান ছিলেন আলোচক। এই সেশনে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক অগ্রযাত্রা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য থেকে লাখো লাখো ব্যক্তিকে বের করে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন এবং অর্থনীতিতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়া সাবলীল রাখতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে এলডিসি গ্রাজুয়েশন ট্রানজিশন সময়কাল ১২ বছরের জন্য বাড়ানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু, বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৩ শতাংশই এককভাবে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আসে এবং শিল্পটি ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড সংযোগ শিল্পে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে এবং যেহেতু কোভিড-১৯ শিল্পের জন্য মারাত্মক আর্থিক সংকটের সৃষ্টি করেছে এবং শিল্পের পুনরুদ্ধারের জন্য কিছু সময় লাগবে, তাই আমরা অস্ট্রেলিয়াসহ সব উন্নয়ন সহযোগীদের এলডিসি গ্রাজুয়েশন সময়কাল ১২ বছরের জন্য বাড়ানোর অনুরোধ করছি।’
শিল্পের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ, বৈশ্বিক পোশাক বাজারে পণ্যের মূল্য পতনের প্রবণতা, বিশেষ করে যখন কিনা কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তা নিয়েও কথা বলেন ফারুক হাসান। তিনি বৈশ্বিক ক্রেতা ও রিটেইলারদের মূল্য নির্ধারণে আরও সহানুভূতিশীল ও যৌক্তিক হওয়ার আহ্বান করে বলেন, ‘এতে করে নিরাপদ বিশ্ব বাজার গড়ে উঠতে পারে, যেখানে কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান নিরাপদ ও টেকসই হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও