Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্বাদশ ঘিরে তৃণমূলে বাড়ছে পক্ষ-প্রতিপক্ষ খেলা, ভাবনায় আ.লীগ!

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:০৩

ঢাকা: টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যদের ক্ষমতার আধিপত্য ধরে রাখতে ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে পক্ষ-প্রতিপক্ষ খেলা শুরু হয়েছে। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বাড়ছে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও সংঘাত। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও হয়ে পড়ছেন দ্বিধাবিভক্ত। কোথাও কোথাও দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলে এমপি-নেতাদের আধিপত্য ধরে রাখার প্রতিযোগিতা তথা পক্ষ-প্রতিপক্ষ খেলা প্রকট রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগে কোথাও কোথাও বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য বা তাদের পরিবারের সদস্য, আবার কোথাও কোথাও জেলা-উপজেলা নেতারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ে নিজেদের ধরে রাখতে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যে জড়িয়ে পড়ছে। অনেকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছে।

নীতিনির্ধারকদের মতে, দলের অনেক নেতা-এমপি ভুলে গেছেন যে, সমষ্টিগতভাবে বহুসংখ্যক মানুষকে নিয়ে দল করতে হয়। কিন্তু এদের কেউ কেউ দলে নিজের একনায়কত্ববাদ সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এগুলো দলের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এক জনকে নিয়ে কোনো দল হয় না। কিন্তু যারা এসব করছেন, তাদের খেয়াল রাখা উচিত- আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে দল থেকে যাদের মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের একটি বড় অংশ কিন্তু প্রয়াত নেতার পরিবারের সদস্যদের বাইরে। নেত্রী কিন্তু কঠিন একটি বার্তা দিচ্ছেন। তাই আগামী দিনে যারা সৎ, যোগ্য এবং দলের জন্য নিবেদিত ও পরিক্ষিত তাদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃণমূল নেতাদের জমানো ক্ষোভ ও কষ্টের কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরছেন বিভিন্ন বর্ধিত সভায়। দল টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও অনেক জায়গায় স্থানীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে অবহেলা-বঞ্চনা ও মামলা-নির্যাতনসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়েছেন কর্মীরা। পাশাপাশি মাথাব্যাথা হিসেবে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। জেলা-উপজেলায় নেতা-এমপিদের মদদপুষ্ট মাইম্যানরা বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে ঠাঁই পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেতারা।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে একাট্টা হয়ে দলের কেউ কেউ কাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাজ করেও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা-এমপিদের মাইম্যানরা তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটিতে ঠাঁই করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমন চিত্র সারাদেশে জেলা-উপজেলায় তৈরি হয়েছে। এমনকি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র করে কোন্দল দিন দিন আরও বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

চলতি মাসে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনেও এমন চিত্র দেখা গেছে। সেদিন প্রতিনিধি সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ‘এতদিন আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিয়েছি, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তা শুনেছেন। আজ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলবেন, আমরা শুনব। আজকে তৃণমূলের কথা বলার দিন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, আগামী নির্বাচনের ইশতেহার করার জন্য। আমরা যারা নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছি, তারা চাই এই ইশতেহার তৃণমূল তৈরি করবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কী কী করা উচিত- সেটা আপনারা বলবেন। আমরা আপনাদের সব কথা শুনব।’

সেদিনের প্রতিনিধি সম্মেলনে জেলার আটটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা নেতারা দেন। হাজিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা তৃণমূলের দিকে খেয়াল করুন, নজর দিন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করেছি। কিন্তু যিনি আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন তাকে ফের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে বিদ্রোহীরা আরও উৎসাহিত হচ্ছে।’ কচুয়া উপজেলার ৩ নম্বর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা ভাই ভাই হিসেবে থাকতে চাই। চাঁদপুরের কেন্দ্রীয় নেতারা এক হয়ে যান।’

কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান বিভিন্ন সংকট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সব কয়টিতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও তিনটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এগুলো করা হয়েছে কার ইশারায়? তৃণমূলের খবর কেউ নেয় না। যদি আপনারা তৃণমূলের নেতাদের খোঁজ-খবর না নেন, তাহলে আগামী নির্বাচনে কেউ মাঠে নামতে চাইবে না। যদি তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হয়, আমরা আবার বিজয়ী হব, জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ আর ইকবাল আজিজ শাহিন নামে কচুয়া আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনেছি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। এই কথা শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের দল ভারী করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এই কারণে দলে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন কমিটিতে সুকৌশলে জায়গা করে নিচ্ছে।’

এদিকে, নাটোরের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের দলীয় রাজনীতিতে তার একক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সংসদ সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের (নাটোর-২) সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, অন্যদিকে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুসসহ বাকি তিনটি আসনের সংসদ সদস্য। রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রুপিং দ্বন্দ্বে নাটোর জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে যেতে পারেও বলে জানা গেছে।

জেলার রাজনীতিতে শফিকুল ইসলামকে ঠেকাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনেরি এমপি আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে একাট্টা হয়েছেন নাটোর-৩ আসনের এমপি ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রত্মা আহমেদ। তাদের সঙ্গে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তজা আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক শেখ এবং নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে চিঠি দিয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে দলে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিএনপি-জামায়াতের লোকদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ, শফিকুল ইসলাম ২০১৪ সালের নভেম্বরে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন কমিটিতে পছন্দের নেতাদের বসিয়ে দলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অন্যদিকে, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেন বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৪অক্টোবর রাতে আয়োজিত এক সভায় তিনি প্রকাশ্যে তার কর্মী-সমর্থকদের এমপির গাড়ি পোড়ানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক কোন্দল আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া শরীয়তপুরের জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে পালং বাজার এলাকায় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা প্রহরায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শরীয়তপুরের সাবেক একজন সংসদ সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে আগামী দিনে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে পক্ষ-প্রতিপক্ষ লড়াই শুরু হয়েছে। যা ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারদের ভাবাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দলে আধিপত্য বিস্তার বা একনায়কত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার যে চেষ্টা, তা শুভ লক্ষণ নয়। একজনকে নিয়ে কোনো দল না। দল হয় বহুসংখ্যক মানুষকে নিয়ে । সেই দলকে কুক্ষিগত করার বা দলে একনায়কত্ববাদ সৃষ্টি করার সুযোগ কারও নেই। মাননীয় নেত্রী কিন্তু কঠিন একটি বার্তা দিচ্ছেন। যারা সৎ যোগ্য এবং দলের নিবেদিতপ্রাণ এবং অগ্নিপরীক্ষায় পরিক্ষিত, তারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। দলের মধ্যে একক আধিপত্য বিস্তারকারী কোন কিছুকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবার থেকে পাওয়া আর না পাওয়ার বিষয় না। পরিবারের লোক হলেন, কিন্তু পরে তিনি রাজনীতি করলেন না। রাজনীতিতে তার কোনো অংশগ্রহণ থাকল না। কিন্তু তিনি একজনের সন্তান হিসেবে সেই অংশীদারিত্বের দায়িত্ব পেতে পারেন না। রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। রাজনীতি অবশ্যই করতে পারেন। রাজনীতি করেই নিজের স্থানটি নির্ধারণ করে নিতে হবে। এখানে কোনো সন্তান বা ভাইয়ের সুযোগ নেই। সেই কঠিন বার্তা কিন্তু ইতোমধ্যেই মাননীয় নেত্রী দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে আদর্শহীনদের জায়গা আছে বলে মনে করি না। আবার আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য কেউ নয়। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা-ই হলেন অপরিহার্য। তার বাইরে অপরিহার্য ভাবার বা মনে করার কোনো সুযোগ কারও নেই। দলের শৃঙ্খলা ও নীতি-আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং শৃঙ্খলা নষ্ট করার অধিকার দল কাউকে দেয়নি। দলের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দিয়েছেন- এ ধরনের রেকর্ড নেই। পাপ করলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে।’

রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি নির্বাচনে জয়লাভের কিছু কারণ থাকে। সেগুলো হলো- দলের নির্বাচনি ইশতেহার বা কর্মসূচি, প্রার্থী ও ঐক্যবদ্ধতা। এই তিনের সমন্বয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করা যায়। আমরা মনে করি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদা ও উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। জননেত্রীর জনপ্রিয়তা, প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা এবং সুসংঠিত দল- এই তিনটি জিনিসের উপর ভর করে যেকোনো নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে।’

তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে কোনো ভাইয়ের বলয় তৈরি করতে দেওয়া হবে না। এই দল শেখ হাসিনার দল। এই দল বঙ্গবন্ধুর দল। এই দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমিও প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে স্যালুট করি। কিন্তু নোংরামিকে ঘৃণা করি। যারা সংঘাত করবেন, নোংরামি করবেন তারা নেতা হতে পারবেন না। একজন এমপি আছেন, আরেকজন এমপি হওয়ার প্রতিযোগিতা করতে পারেন- এটা কোন দোষের কিছু না।’

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ তৃণমূল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষ-প্রতিপক্ষ খেলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর