Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৩৯

ঢাকা: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির বিষয়টি সরকারের হাতে নেই। এটা আদালতের বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তার একটি মামলা পেন্ডিং রয়েছে। অপর একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় তাকে স্থায়ী মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিট দা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউর সভাপতি মোরসালিন নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক হওয়ার কারণে ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে তাকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, জেলহত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের ষড়ষন্ত্রের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আ্ইনের আওতায় আনার জন্য কমিশন গঠন করার কাজ দ্রুত শুরু হবে। করোনার কারণে বিষয়টি একটু দেরি হচ্ছে। কমিশন গঠন করার পর ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতিকে এসকে সিনহাকে বিচারের আওতায় আনা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, চলমান কোনো মামলার বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করা এবং এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দেওয়া আইনমন্ত্রী হিসাবে আমাকে শোভা পায় না। এতে করে চলমান বিচারকার্য প্রভাব বিস্তার হতে পারে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের পদত্যাগের একটি বিষয় ছিল। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় বিচারপতিরা পদত্যাগ করতে পারেন না। তবে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অপসারণের একটি ধারা আনা হয়েছে। বর্তমানে সেটা আদালতে শুনানিতে রয়েছে।

তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা করে আইন করা হচ্ছে। আইনটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্তমানে হাইকোর্টে ১৯১ জন বিচারপতি রয়েছে। বিচারপতি নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এছাড়াও বিচারপতির জন্য আলাদা একটি বিচার একাডেমি গঠন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী সংসদ অধিবেশনে সাক্ষ্য আইনে সংশোধনী আনা হবে। এই আইনে ধর্ষণ মামলার ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না।

আইনমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিচারপতিদের নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছেন। এক সময় বিচারপতিদের এজলাশ ছিল, কখনো কখনো এজলাশে বিচারপতিদের শেয়ার করে বসতে হতো। বিচারপতিদের আদালতে যাওয়া কোনো গাড়ি ছিল না। এসব কারণে বিচার পেতে বিলম্ব হতো, মামলাজট সৃষ্টি হয়। আমরা এসব সমস্যার সমাধান করেছি।

সারাবাংলা/জিএস/এএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর