হয়রানি বন্ধ না হলে প্রবাসে কর্মী পাঠানো বন্ধের হুঁশিয়ারি
১০ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২৯
ঢাকা: মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের হয়রানির প্রতিবাদে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া গেলে নভেম্বর থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভুক্তভোগী, সাধারণ মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর’ ব্যানারে ওই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে এজেন্সি মালিকরা বলেন, ‘মানবপাচার আইনকে আমরা সমর্থন করি। যারা অবৈধভাবে মানবপাচার করে, নদী, সাগর ও সীমান্ত দিয়ে যারা অবৈধভাবে পাচার করে মানুষের জীবন হরণ করে, তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে সম্পৃক্ত, প্রকৃত মানব পাচারকারীদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দকে মানবপাচার আইনের অপব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে চলা অহেতুক হয়রানি হতে স্থায়ীভাবে মুক্তি চাই। অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নামে মানবপাচার আইনে মামলা ও হয়রানির কারণে তারা কর্মী পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ভিশন তথা কর্মী পাঠাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
নেতারা বলেন, ‘বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স পেয়ে যদি কোনো কর্মী গমন করে সেটি মানবপাচার আইনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এই ধারাটি সংযোজন করে মানবপাচার আইনটি জতীয় সংসদে সংশোধন করার জন্য বিল উত্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিদেশে অবস্থানকারী কোনো কর্মী কিংবা তার অভিভাবকদের অভিযোগ নেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়, বিএমইটি কিংবা বায়রার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ জানান এজেন্সি মালিকরা। সত্যতা যাচাই ছাড়া মানবপাচার ও দমন আইনে মামলা গ্রহণ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপ চান তারা।’
নেতারা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে মানববন্ধনে জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আর চলতি মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিমালিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃদ্ধকে হয়রানি বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া গেলে নভেম্বর থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আরএলএর স্বত্বাধিকারী এম টিপু সুলতান, জান্নাত ওভারসীজের স্বত্ত্বাধিকারী লিমা বেগম, গোলাম রাব্বানী ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন, ফাতেমা ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমানসহ অরও অনেকে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে