ফ্রি ফায়ার চালু করতে হাইকোর্টে সিঙ্গাপুরের গ্যারিনা অনলাইন
১১ অক্টোবর ২০২১ ২১:০০
ঢাকা: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেমগুলো বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছে ফ্রি ফায়ারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গারেনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদেশে তাদের এই গেমটি যথেষ্ট জনপ্রিয়। আদালতের আদেশে গেমটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আদালতে এ সংক্রান্ত রিটে তারাও একটি পক্ষ হিসেবে থাকতে চায়।
রোববার (১০ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ২৬ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন।
এদিন আদালতে গ্যারিনা অনলাইনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও তানভীর কাদের। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল। এ ছাড়া বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেমগুলো বন্ধের রুলে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এই আবেদন করে।
এর আগে, এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৬ আগস্ট দেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর সব গেম অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর ২৫ আগস্ট এসব গেম বন্ধের খবর আসে। এর মধ্যে এ বিষয়ে আইনি লড়াই করতে উচ্চ আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করে গ্যারিনা অনলাইন।
রিটের পক্ষে থাকা আইনজীবী হুমায়ন কবির জানান, গ্যারিনা অনলাইন একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তাদের এ দেশে কোনো অফিস নেই। তারা হাইকোর্টে আবেদন করার কোনো এখতিয়ার রাখে না। তারা বলছে, ফ্রি ফায়ার বন্ধের কারণে এ দেশের ব্যবহাকারীদের বড় একটি অংশ গেমটি খেলতে পারছে না। তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এটা তো কোনো যুক্তি হতে পারে না। শুনানি শেষে আদালত ২৬ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
এর আগে, গত ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিট করা হয়। রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর