হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য’র সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ
১১ অক্টোবর ২০২১ ২৩:২৫
ঢাকা: হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব বিভাগ। সোমবার (১১ অক্টোবর) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “হোল্ডিং ট্যাক্স (গমহ কর) বাবদ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ১৯৯৮-৯৯ সালের ২য় কিস্তি হতে ২০২১-২২ সালের ৪র্থ কিস্তি পর্যন্ত পাওনা দুই কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ১১০ টাকা। করপোরেশনের প্রাপ্য বকেয়া পরিশোধ করতে গত ৬ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ‘ক্রোকের নোটিশ’ দেওয়া হয় করা হয় এবং গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাগিদ পত্র দেওয়া হয়েছে।”
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবের কাছে ২০০৫-০৬ সালের ২য় কিস্তি হতে ২০২১-২২ সালের ৪র্থ কিস্তি পর্যন্ত দুই কোটি ৩১ লাখ ৩২ হাজার ২৪১ টাকা পাওনা রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। পাওনা আদায়ে কতৃপক্ষকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল ৫টা হোল্ডিং ট্যাক্সের পাওনা টাকা আদায়ে বাফুফে ভবনে অভিযান চালায় ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগের ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃপক্ষ হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করবে- এমন লিখিত অঙ্গীকার করায় অভিযানের সমাপ্তি টানে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানের শুরু হতে দেনদরবার করতে থাকা বাফুফে কর্তারা দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনড় মনোভাবে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে লিখিত এই প্রতিশ্রুতি দেন।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত বাফুফে কর্তারা জানান, বাফুফের ব্যয়িত সব অর্থের দস্তখতকারী (সিগনেটরি) তিন জন। এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় এই মুহূর্তে বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করব। বাকি টাকা মেয়রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিস্তি হিসেবে পরিশোধের সুযোগ চাইব।
২০০৫-০৬ সালের ৩য় কিস্তি হতে ২০২১-২২ সালের ৪র্থ কিস্তি পর্যন্ত বাফুফের কাছে গৃহকর বাবদ দক্ষিণ সিটির ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অধিক পাওনা রয়েছে।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘করপোরশেনের বকেয়া আদায়ে পরিচালিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ আমরা বাফুফে ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছি। বাফুফে’র কাছে বিগত ১৬ বছরের গৃহকর বাবদ ১ কোটি ৫৩ লাখ ৯০৪ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। অভিযানের সময় বাফুফে তাৎক্ষণিকভাবে সমুদয় বকেয়া পরিশোধ না করলেও আংশিক অর্থ এই সপ্তাহে পরিশোধ করা হবে মর্মে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাকী অর্থ মেয়র মহোদয়ের সাথে আলাপ-আলোচনাসাপেক্ষে পরিশোধ করা হবে বলে অবগত করেছেন।’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ব্যক্তির কাছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বড় অংকের গৃহকর পাওনা রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজউক, বাংলাদেশ টি বোর্ড, বারডেম হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ব্যক্তি করপোরেশনের প্রাপ্য বকেয়ার সব অর্থ পরিশোধ করেছেন।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, করপোরেশনের উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম