মেঘনায় কোস্টগার্ডের ট্রলারে জেলেদের হামলা, গ্রামবাসীকে লাঠিপেটা
১২ অক্টোবর ২০২১ ১৪:০৫
বরিশাল: মা ইলিশ রক্ষায় পরিচালিত অভিযানের সময় মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ডের ট্রলারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও ট্রলার মাঝি মো. সোলায়মান আহত হয়েছেন। পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা গ্রামের ভেতর ঢুকে নারী-পুরুষদের লাঠিপেটা করেছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।
তবে কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, হামলার পর কোস্টগার্ডের সদস্যরা আহত দুজনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। একটি মহল বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে লাঠিপেটার অভিযোগ করছেন।
হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সোমবার দুপুরে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতর দুটি আলাদা ট্রলার নিয়ে টহলে বের হয়। দক্ষিণ বাউশিয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে পৌঁছালে কোস্টগার্ড সদস্যদের বহনকারী ট্রলারে ইটপাটকেল ও বাঁশের খণ্ড নিক্ষেপ করে আকস্মিক হামলা চালায় জেলেরা। এতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অভিযানের ট্যাগ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও ট্রলার মাঝি মো. সোলায়মান আহত হন।
দক্ষিণ বাউশিয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, নদীর তীরে জেলেদের সঙ্গে ঘটনার জের ধরে কোস্টগার্ড সদস্যরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে নারী-পুরুষদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেছেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ফারজানা বেগম, বাচ্চু ঘরামি, মাহবুব বাঘা, কিসলুসহ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে হিজলার কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হামিদুল হক বলেন, কোস্টগার্ডের ট্রলারটি বাউশিয়া ঘাটে ভেড়ার সময় তীর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও বাঁশের খণ্ড নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে ট্রলারের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। আটক ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে অসাধু জেলেরা এসব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য রটাচ্ছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা কাউকে লাঠিপেটা করেনি।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস বলেন, কোস্টাগার্ডের ট্রলারে হামলার খবর শুনেছি। তবে লাঠিপেটার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।
সারাবাংলা/এএম