Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গুটিকয় প্রতিষ্ঠানের দায় পুরো ই-কমার্স খাতে পড়তে পারে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২১ ০২:৪৭

ঢাকা: দেশের ই-কমার্স খাত মানুষকে সেবা দিয়ে আস্থা অর্জন করেছে বলেই ক্রেতারা এই সেবা নিচ্ছে। করোনার শুরু থেকে গত দেড় বছরে ঘরে থাকা মানুষদের নিরাপদ সেবা দিয়ে এই খাতকে বিকশিত করেছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু হাতেগোনা কিছু ব্যক্তির মন্দ ব্যবসায়িক কৌশলের জন্য এই সেবাখাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না এবং তাদের জন্যে বেশিরভাগ ইতিবাচক ও আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রভাব পড়তে পারে না।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘জেনে-বুঝে-শুনে শপিং হবে অনলাইনে’ স্লোগান নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন। ই-কমার্স খাত নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে ই-কমার্স খাত নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০টি ই-কমার্স অনলাইন প্রতিষ্ঠানও ই-ক্যাবের উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা বলেন, ই-কমার্স কোনো প্রতারণামূলক ব্যবসা নয়। কোনো ব্যবসায় পণ্য কেনার মাধ্যমে সে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যায় না এবং অস্বাভাবিক সময় নিয়ে অযাচিত মূল্যছাড় দিয়ে কোনো দীর্ঘস্থায়ী ব্যবসায়িক ধারণা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর তাই ক্রেতাদের সঠিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে জেনে-শুনে-বুঝে সঠিক পদ্ধতিতে পণ্য কিনতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আমরা প্রকৃত ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সামনে নিয়ে আসতে চাই এবং মন্দ ব্যবসায়িক কৌশল প্রয়োগের পথ খোলা রাখতে চাই না। বেশ কিছু বিষয়ে ই-ক্যাব সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা একটি সমন্বিত অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেবা চালু করার চেষ্টা করছি। এতে এটুআই সহযোগিতা করছে। এর সঙ্গে ক্রেতা ভোক্তা ও সরকারি এজেন্সিগুলো সম্পৃক্ত হয়ে গেলে সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এসক্রো সেবা মূলত একটি প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকার ব্যাপারে ই-ক্যাব থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সভায় সমস্যা ও উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা আজকের ডিল ও বিডিজবস ডটকমের সিইও ফাহিম মাশরুর। তিনি বলেন, গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের জন্য সবার বদনাম হতে পারে না। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ভালো সেবা দিচ্ছে এবং এ কারণেই ই-কমার্স বিকশিত হচ্ছে। সেবা না পেলে ভোক্তারা এখানে আসত না। তাই যারা সঠিক সেবা দিচ্ছে তাদের বিষয়টি ক্রেতা সাধারণকে জানানো উচিত।

অনুষ্ঠানে কথা বলেন চালডালের ফাউন্ডার ও সিওও জিয়া আশরাফ। তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে পণ্য সেবা দিয়ে থাকে। গ্রাহকেরা এখানে অর্থের বিনিময়ে সেবা নিয়ে থাকেন। কোনো ক্রেতার স্বার্থ সুরক্ষা না হলে অবশ্যই অভিযোগ করা কিংবা আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আদি-এর উদ্যোক্তা ফাতেমা আক্তার, পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ, একশপ প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি, পিকাবু সিইও মরিন তালুকদার ও যাচাই-এর সিইও মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।

গত ১০ অক্টোবর দেশীয় ২০টি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরের মতো এবারও ‘টেন-টেন’ শপিং উৎসব ঘোষণা করেছে। ২০ দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিটি কোম্পানি নানা ধরনের গিফট, ডিসকাউন্ট, অফার ছাড়াও দিচ্ছে সারাদেশে ফ্রি ডেলিভারি। বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে থাকছে ১০ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক।

চালডাল, রকমারি, আজকের দিল, ডায়বেটিক স্টোর, পাঠাও ফুড, সেবা এক্সওয়াইজেড, প্রথমা, দ্য মল বিডি, পিকাবু, গেজেট অ্যান্ড গিয়ার, আদি, একশপ, যাচাই, আইফেরি, প্রোটিন মার্কেট, বেবি কেয়ার, বাংলা শপার, স্টারটেকসহ ২০টি ই-কমার্স সাইট ও লজিস্টিক কোম্পানি এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিচ্ছে। পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিকাশ ও ডেলিভারি টাইগার। এ আয়োজনের বিস্তারিত জানা যাবে www.TenTen.com.bd ওয়েবসাইটে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

ই-কমার্স খাত ই-কমার্সে প্রতারণা ই-ক্যাব টেন-টেন শপিং উৎসব


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর