‘ভ্যাকসিন পুশ পিঁপড়ার কামড়ের মতো লেগেছে’
১৪ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৫০
মানিকগঞ্জ: কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এখান থেকেই বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) স্কুল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ঘড়ির কাটায় তখন বেলা ১টা বেজে ২০ মিনিট। শহরের এস কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথিলা আক্তার মা’য়ের সঙ্গে এসেছে ভ্যাকসিন নিতে। চোখে মুখে এক ধরনের ভয়ের ছাপ।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সারাবাংলার এই প্রতিবেদক তার অনুভূতি জানতে চাইলে সে বলে, ‘এখানে আসার পর থেকেই খুব ভয় পাচ্ছিলাম। নার্স যখন সুই নিয়ে আমার ডান হাতে পুশ করছিল তখন মনে মনে দোয়া পড়ি ও ভয়ে চোখ বন্ধ করে থাকি। তবে ভ্যাকসিন পুশ পিঁপড়ার কামড়ের মতো লেগেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সব আতঙ্ক কেটে গেছে, এখন ভালো লাগছে।’
মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে ভ্যাকসিন নিতে পারায় খুব ভালো লেগেছে। প্রথমে সবাই একটু ভয়ে ছিলাম। তবে সহপাঠীরা একসঙ্গে থাকায় ভেতরে সাহস ছিল। শিক্ষার্থী হিসেবে আমরাই প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
ভ্যাকসিন গ্রহণকারী প্রথম শিক্ষার্থী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবাশ্বির রহমান রাফি বলে, ‘আমার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছি।’
মিথিলা, ফয়সাল ও রাফির মতো ১২০ জন শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিতে পেরে বেশ আনন্দিত। তবে ভ্যাকসিন পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য কোনো কোনো অভিভাবক কিছুটা শঙ্কিত। তারা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। যখন স্কুল খোলা হয়েছে, তখন সন্তানদের নিয়ে একটু ভয় পেয়েছি। আজ তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ায় সেই ভয়টা কিছু কেটে গেল। তবে ভ্যাকসিন পরবর্তী কমপক্ষে ১০-১৫ দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না। এটা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আছি।
সারাবাংলা/পিটিএম