অস্ট্রেলিয়ার পাঠানোর কথা বলে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, নারী কারাগারে
১৪ অক্টোবর ২০২১ ২১:১৭
ঢাকা: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ঢাকা জজ কোর্টের এক আইনজীবী ও তার পরিবারকে স্পন্সর ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই নারী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
ওই নারী ঝালকাঠি জেলার সদর থানার বারুকাঠী মিয়া বাড়ির মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে।
বাদীরপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে আশফাকুর জামান ও সাইফুল ইসলাম আকাশ নামে দুই জন কারাগারে গেছেন। মামলার এজাহারের ওই আসামিদের নাম না থাকলেও তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গ্রেফতার করা হয়।
গত ২১ জুন আইনজীবী এম এবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলাতে কারাগারে যাওয়া ফরিদা ইয়াসমিন এছাড়াও ফরিদা ইয়াসমিনের মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজি ও ছেলে রাকিবুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বাদীর সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের পরিচয় ও তারা একই জেলার বাসিন্দা। ঢাকায়ও কাছাকাছি বাসায় তারা বসবাস করতেন। আসামি ফরিদা ইয়াসমিনের সন্তান রোজি ও রাকিব অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ছিলেন। ২০২১ সালের ২২ মার্চ আসামি ফরিদা ইয়াসমিন বাদীর বাসায় গিয়ে জানায় তাদের সন্তানরা প্রত্যেকে অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র সিটিজেন হওয়ায় রিলেটিভ স্পন্সর ভিসায় তারা পাঁচজন করে লোক নিতে পারবেন।
এরপর আসামি রোজি ও রাকিব মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে ভিসার আবেদন করতে অনুরোধ করেন। প্রত্যেক আবেদনকারীর ভিসার জন্য তেইশ লাখ টাকা খরচ হবে বলে ওই সময় জানানো হয়।
আসামি রোজী তাকে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশনের কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন। তিনি নিজেকে ২০২০ সালের অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বেস্ট প্রপাার্টি বাইয়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত বলে দাবি করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত হওয়ার ছবিও মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আট হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার জমা আছে। এর প্রমাণ হিসেবে বাদীকে ব্যাংক স্টেটমেন্টও পাঠানো হয়।
বাদী নিজে, তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তান এবং আপন ভাইসহ আরও কয়েকজন স্বজনের ভিসার জন্য ওই বছর ২৪ মার্চ আসামি রোজীর ই-মেইলে সব ডকুমেন্ট পাঠান।
একই বছর ৩১ মার্চ আসামি রাকিব মোবাইল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক রাজধানীর রমনা শাখার দুটি ব্যাংক হিসাব নম্বর পাঠান। এরপর বাদী আসামিদের কাছে ৭৫ লাখ ৩৭ হাজার ছয়শ টাকা পাঠান।
সারাবাংলা/এআই/একে