Wednesday 15 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়াং অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৩ তরুণ লেখক


৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৫৪ | আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৮:২১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের (বিপিএইচআর) ‘ইয়াং অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ পেয়েছেন তরুণ তিন লেখক।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজ্ঞান চর্চায় নিজেকে প্রতিনিয়ত নিয়োজিত রাখা বিজ্ঞানকর্মী ও লেখক জাহাঙ্গীর সুর, তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত ও পাঠ্যক্রমের বাইরে পড়ালেখায় উদ্বুদ্ধকরণে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সংগঠক-অনুবাদক সাবিদিন ইব্রাহিম, শিশুদের সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী ও শিশুতোষ ছড়াকার মোহাইমেন মানি।

তিন লেখককে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে বিপিএইচআরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশের নির্মাতা তরুণদের ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে এ বছর থেকে ইয়াং অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ওই তিনজনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘পুরস্কারের জন্য তিন তরুণকে তিনটি ক্যাটাগরিতে মনোনীত করা হয়। শিগগিরই নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করে বিশেষ অনুষ্ঠানে লেখকদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেওয়া হবে।’

তিন তরুণের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

জাহাঙ্গীর সুর : দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০০৮ সালে পকেট খরচের টাকা বাঁচিয়ে নিজেদের গ্রামে (চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের জমিনপুরে) গড়ে তোলেন একটি গ্রন্থাগার। নাম আকিমুদ্দিন গ্রন্থাগার। সংগঠনের কর্মীদের নিয়েই চলছে তার দেশব্যাপী বিজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার আন্দোলন। আকিমুদ্দিন গ্রন্থাগারের বিজ্ঞানকর্মীদের অন্তত ১৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০১২ সালে অঙ্কুর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় জাহাঙ্গীর সুরের লেখা প্রথম বই ‘নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের শৈশবগাথা’। এরপর বিজ্ঞান একাডেমি থেকে ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘ফিজিক্স’ এবং ২০১৪ সালে ‘বিজ্ঞানের বিস্ময়কর গল্প’ (সহলেখক মরিয়ম মিজান রত্না)। ২০১৭ সালে দেশ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয় ‘মনের ব্যাকরণ’ বইটি। আর ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় ‘শূন্য মহাশূন্য বলি যারে।’ এ ছাড়া সাতটি বিজ্ঞানগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন জাহাঙ্গীর সুর।

১৯৮৬ সালের ৩০ মার্চ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদায় জাহাঙ্গীর সুরের জন্ম। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের জমিনপুর গ্রামে তার বর্তমান পুরুষদের বসবাস।

সাবিদিন ইব্রাহিম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা এ তরুণ বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। সাবিদিন ইব্রাহিমও একজন সাংবাদিক। তিনি বণিক বার্তায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখখযোগ্য ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস ( ২০১৬), চৈনিক দার্শনিক সান জু’র ‘দ্যা আর্ট অব ওয়ার’ (অনুবাদ ২০১৭) ও সেনেকার ‘অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ’ (অনুবাদ ২০১৮)।

মোহাইমেন মানি : উত্তরের জেলা নীলফামারীতে জন্ম। বেড়ে ওঠা রাজধানীতে। যেকোনো বিষয় দেখে তাৎক্ষণিক ছড়া রচনার অনন্য বৈশিষ্ট্য তার পরিচিতজনদের মুগ্ধ করে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার লেখা সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক শতাধিক শিশুতোষ ছড়া প্রকাশ পেয়েছে। তার বিশেষ মনোযোগ শিশুদের মানসিক উন্নয়ন ও মেধাবিকাশে সহায়তামূলক কার্যক্রমে।

২০০৯ সালে তার প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘মায়ের মুখচ্ছবি’ প্রকাশিত হয়। ২০১৮-এর গ্রন্থমেলায় ছড়াগ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। তার সরাসরি অংশগ্রহণ ও তত্ত্বাবধানে শিশুতোষ পত্রিকা ‘ফুলকলি’ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। কর্মজীবনে তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কম্পিউটার বিভাগে শিফট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর