ঢাকা: সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে কুরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার জামায়াত-শিবির সন্দেহে ৯ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৭ অক্টোবর) রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে রিমান্ডের বিষয়টি জানা গেছে। একই মামলায় মো. সাগর নামে এক কিশোরকে কিশোর সংশোধনগার কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. হাসান, মো. হোসেন ওরফে টিপু, মো. বসির উদ্দিন, মো. নাজমুল হোসেন, মো. বিল্লাল, মো. নিরব হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আ. রাজ্জাক এবং রাশেদুল ইসলাম।
ওই দিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. ইউনুস মোল্লা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
আবেদন বলা হয়, সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে কুরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনার ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর গ্রেফতার আসামিরাসহ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জন আসামি (বেশির ভাগ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী, বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও তাদের অনুসারী) বায়তুল মোকাররম মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজে ছদ্মবেশে সমাবেত হয়। নামাজ শেষে তারা আকস্মিক এক মিছিল বের করে রমনা মডেল থানাধীন নাইটিঙ্গেল মোড় রাস্তা অবরোধ করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় পুলিশ নিবৃত্তের চেষ্টা করলে তারা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়। তাদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওই ঘটনায় এসআই (নি.) আলমগীর হোসেন মজুমদার রমনা মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।