Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: জিএম কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৫

গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশে অস্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায় কখনোই তাদের উৎসবমুখর পূজা বানচাল করতে কোরআনকে অবমাননা করবে না। সামান্যতম ঈমান থাকলে কোনো মুসলিম কোরআনকে অবমাননা করতে ষড়যন্ত্র করতে পারে না। আবার কোরআন অবমাননার খবর সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে দিতে অপচেষ্টা করেছে একটি চক্র। পরিকল্পিতভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা ও নব-নিযুক্ত মহাসচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন অর্বাচিন ব্যক্তির মত এক প্রতিমন্ত্রী জননন্দিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কটুক্তি করেছে, কটাক্ষ করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে। আবার সংবিধান পরিপন্থি কথা বলে শপথ ভঙ্গ করেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পঞ্চাদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে কথা বলে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খতিয়ে দেখতে হবে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী কেন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে কোনোভাবেই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেব না। এদেশে একই চত্বরে মসজিদ ও মন্দিরে উপসনা চলছে শত শত বছর ধরে। আমাদের পূর্ব পূরুষরাও একইসঙ্গে ধর্মীয় আচার-আচারণ পালন করেছে। কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। এখন কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যেকোনো ষড়যন্ত্রই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দাঙ্গাজনিত কারণে প্রায় ৫০ বছর রাজধানীতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের হয়নি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময় ১৯৮৯ সালে ফের জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জন্মাষ্ঠমীর শুভ দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। পল্লীবন্ধু গঠন করেছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট। মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারে পল্লীবন্ধুর আন্তরিক সহায়তা ছিল সর্বজনবিদিত। মসজিদ-মন্দিরসহ সব উপসনালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘যার ধর্মীয় বিশ্বাস আছে এবং যিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, সে কখনোই অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা করতে পারে না। দেশে এত গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, তার মাঝেও কুমিল্লার মন্দিরে কে বা কারা কোরআন শরিফ রেখেছে তা বের করতে হবে।’

প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (খুলনা বিভাগ) সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাজনীন সুলতানা, মো জহিরুল হক জহির, লে. ক. সাব্বির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, শেখ মো. আলমগীর হোসেন, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সুমন আশরাফ, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

সম্প্রীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর