শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে যুবলীগের ঘর হস্তান্তর
১৭ অক্টোবর ২০২১ ২০:২৬
ঢাকা: ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (১৭ অক্টোবর) যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রিয় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও চলমান আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে যুবলীগের আশ্রয় কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের মাঝে ২২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো মুরাদ হাসান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘শেখ রাসেল ছিলেন আমার সহপাঠী, আমার খেলার বন্ধু। আমরা যখনই ঢাকায় আসতাম, তখনই শেখ রাসেলের খেলধুলাসহ বিভিন্নভাবে সময় কাটাতাম। খেলার প্রতি রাসেলের প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। অনেক সময় আমাদের বাসা থেকে জোর করেই খেলার মাঠে নিয়ে যেত। শেখ রাসেল, শেখ জুয়েল, আরিফ সেরনিয়াবাত ও আমি ছিলাম সমবয়সী। আজকে রাসেল বেঁচে থাকলে অবশ্যই তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতেন।’
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে কথা দিয়েছিলাম মুজিব শতবর্ষে আমাদের বাংলাদেশে প্রিয় নেত্রী গৃহহীনদের গৃহ দেওয়ার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা যুবলীগের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশে গৃহহীন ও অসহায় মানুষকে গৃহদান করব। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে ১০ জন অসহায় গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়েছিলাম। আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ২য় ধাপে আরও ২২ জন অসহায় ও গৃহহীন মানুষের হাতে ২২টি ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ রাসেলকে নিয়ে যেমন ভাবতেন, সেই ভাবনাটা যুবলীগের প্রত্যেকটা নেতা কর্মীর মধ্যে আসুক। তাহলে আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব। আমরা কথায় কথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ তারা করবে, কিন্তু আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কি আমাদের পক্ষে ছিল, আমরা লড়াই-সংগ্রাম করেই ক্ষমতায় এসেছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৫৮ বছর। কিন্তু শেখ রাসেল আমাদের কাছে চির সবুজ, অমর শিশু, শেখ রাসেলের জন্মদিনে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উচিত অন্তত একজন সুবিধা বঞ্চিত শিশুর দায়িত্ব নেওয়া। তাহলেই শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন সার্থক হবে। সব কিছুই কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করতে হবে? আমাদেরও তো কিছু করতে হবে। তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। বাংলাদেশ কোন ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদীদের আস্তানা হতে পারে না।’
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সংখ্যালঘু ভাইয়েরা শেখ রাসেলের প্রতীক হিসেবে আজকে আত্মপ্রকাশ করেছে। শেখ রাসেলের নামকরণের মর্যাদা রাখতে আওয়ামী যুবলীগ সাম্প্রদায়িক শক্তির অমানবিক আগ্রাসন, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত। শেখ রাসেল আজ আবর্তিত হয়েছে সকল শিশুদের উপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে।’ তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তের নিহত শিশুদের স্মরণ করে বলেন, শেখ রাসেল শুধু একজন নয়, পৃথিবীর হাজার হাজার রাসেলের প্রতীক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডাঃ খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আলম মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
সারাবাংলা/আইই