Wednesday 04 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাবরিনা-আরিফুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আরও দু’জনের সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় আরও দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

সাক্ষীরা হলেন- মো. জাকারিয়া ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে এই সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় জাকারিয়া আদালতকে বলেন, ‘২০২০ সালের ১ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারে প্রথমে আমি একা করোনা পরীক্ষা করি। গত ৬ জুন আমার করোনা পজিটিভ আসে বলে রিপোর্ট পাই। এরপর আবারও স্ত্রী-ছেলে মেয়েসহ ৫ জন করোনা পরীক্ষা করাই। তবে সেই রিপোর্টে শুধুমাত্র স্ত্রীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর আমরা সবাই সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করে আসি। সেখানে আমাদের সবার নেগেটিভ আসে। দুইবার করোনা পরীক্ষার জন্য আসামিরা ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। তারা প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এনব তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে।

মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন।

চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।

গত বছর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

সারাবাংলা/এআই/এমও

জেকেজি সাবরিনা-আরিফুল