‘কোনো শিশুকে যেন শেখ রাসেলের মতো অমানবিকতার শিকার না হতে হয়’
১৮ অক্টোবর ২০২১ ২০:১৩
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে পরিবারের ঐতিহ্য ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শিশু শেখ রাসেল। কোনো অপরাধ ছিল না তার। নিষ্পাপ শিশু ছিল সে। শিশু রাসেল আজ বেঁচে থাকলে পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখত। দুঃখের বিষয়, সে সুযোগ জাতি পেল না। বাংলাদেশের কোনো শিশু যেন অমানবিক আচরণ ও এরকম হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়, এই ব্রত সবাইকে ধারণ করতে হবে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছরই প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের জন্মদিনটি জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে।
এর আগে, সংসদ সচিবালয় মসজিদে শিশু শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে স্পিকার আশাবাদ জানান।
আলোচনায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাল্যকাল থেকে শেখ রাসেল ক্রীড়াপ্রেমী ছিল। বাল্যকালে সে তার খেলনা বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করতে খুব পছন্দ করত। বঙ্গবন্ধুর এই গুণটি শিশু রাসেল ছোটবেলা থেকেই পেয়েছিল। এই শিশু রাসেল হত্যার বিচার করতে আমাদের অনেক সময় লেগে গেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার বিচার আমরা করতে পেরেছি। ঘাতকদের অনেককেই শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের জন্য সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। শিশুর মৌলিক চাহিদা থেকে শুরু করে সুস্থ মানুষ হিসেবে মানবিক গুণাবলি বিকশিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য ভালোবাসাপূর্ণ মানবিক পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের প্রতি সবার আবেগ ও ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শেখ রাসেলের হত্যা ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এসময় শিশু রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের পলাতক হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
হুইপদের পক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের সহিংস, বর্বর, পৈশাচিক ও বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে শেখ রাসেলের মতো ছোট শিশুও রক্ষা পায়নি। শিশু রাসেল ছিল ফুলের মতো নিষ্পাপ।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক মো. তারিক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার সূচনা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর