ঢাকা: কুমিল্লা, রংপুর,চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ সারাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসবের মণ্ডপে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শহীদ মিনারের সামনে সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জবি নীলদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কামাল হোসেনের এই প্রতিবাদ সমাবেশে সঞ্চালনা করেন।
সমাবেশে অংশ নিয়ে ইতিহাস বিভাগের ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িকতা না থাকলে, বাঙালি জাতির পরিচয় থাকে না, এভাবে চলতে পারে না, যে যেখান থেকে পারেন আওয়াজ তুলুন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলুন।’
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড.এ.কে.এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই বাঙালি, এদেশে সবাই যার যার ধর্ম নির্বিগ্নে পালন করবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, আমাদের এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে।’
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করার বিষয়, এটা বায়বীয় কোনো আদর্শ নয়। আমাদের ব্যক্তিজীবনে এটাকে লালন-পালন করতে হবে, না হলে নিজেকে ছোট করা হবে, আমরা জাতি হিসেবে মাথানত করে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে এদেশের হিন্দু ভাইদের অনেক অবদান রয়েছে। মনুষ্যত্বকে ধারণ করে সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতা গড়ে তোলতে হবে আমাদের।’
সভাপতির বক্তব্যে জবি নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘স্বার্থান্বেষীরা পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব হামলা পরিকল্পিতভাবে হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার ছিল।’ এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান শিক্ষকরা।
এ সময় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহসানসহ নীলদলের বিভিন্ন শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।