রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে ই-কমার্স
১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:০৩
ঢাকা: একেবারে বন্ধ করে না দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ই-কমার্স নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে পাঁচ সদস্য’র একটা কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। একজন অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে গঠিত ওই কমিটিকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল।’
‘আগামী ২০ দিনের মধ্যে ওনারা প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাণিজ্য সচিব-দুইজনই বলেছেন, ওনারা প্রোগ্রেস করে ফেলেছেন এবং সব ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনটিএনসি-সবাইকে নিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে’- জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গত দুই আড়াই মাস ধরে ই-কমার্স’কে একটা কন্ট্রোলে রাখা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো (ই-কমার্স জালিয়াতি) কিন্তু গত দেড়-দুই মাস ধরে করা যাচ্ছে না।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে- এই জাতীয় (ই-কমার্স) ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মধ্যে এনে মনিটরিং করা হবে। প্রসিডিউরও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকেও উদ্বুব্ধ করতে হবে। আপনি কী জাতীয় প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছেন? পাঁচ লাখ টাকার মোটরবাইক আড়াই লাখ টাকায় দেওয়া হবে, শুনেই ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং আড়াই লাখ টাকা জমা দিয়ে দেব? আপনার নিজেরও একটা বিচার-বিবেচনা থাকা দরকার যে, পাঁচ লাখ টাকার একটা জিনিস কীভাবে আমাকে আড়াই লাখ টাকায় দেবে?’
আরও পুড়ন: ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন
‘সতরাং জনগণকে একটু সচেতন করতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ই-কমার্স তো বন্ধ করা যাবে না। তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশনের আন্ডার এবং মনিটরিংয়ের আন্ডারে আনার মোটামটি ব্যবস্থা করে ফেলেছি। এ বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং আমরাও বেশ কিছু দিন ধরে কাজ করছি। আশা করি দেড়-দুই মাসের মধ্যে ভালো একটা ডেভেলপমেন্ট আসবে’- বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
যারা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কয়েকটা মিটিং করে ফেলেছে। দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত আসবে।’
‘এখন ধরেন আমাকে একটা প্রস্তাব দিল পাঁচ লাখ টাকার একটা মোটরবাইক আড়াই লাখ টাকায় দেবে, আমি টাকা দিয়ে দিলাম। যদি রেজিস্ট্রার্ড না হয়, তাহলে আপনি কীভাবে অ্যাকশনে যাবেন? সুতরাং পেমেন্ট গেটওয়ে সুপারভিশনের জন্য একটা ম্যাকানিজম করা হচ্ছে। রেজিস্টিার্ড গেটওয়ের বাইরে যেন কেউ অপারেট না করে’- বলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস