বাংলাদেশ-ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক কাল
১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৪৮
ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ সচিব পর্যায়ের ২১তম স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী কাল বুধবার (২০ অক্টোবর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক হবে। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির বৈঠকও হবে বলে জানা গেছে।
তিন দিন ধরে চলা বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দিবেন। প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতাধীন ২১তম স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দিবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১) এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী। মঙ্গলবার নৌ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ টি এম মোনেমুল হক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সামাদ আল আজাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিনুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরিন নাহার, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মঞ্জুরুল কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কার্গো ভেহিক্যাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক এবং কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেখ মাহফুজ হামিদ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় দু’দেশের নৌ সচিব পর্যায়ের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দু’দেশের মধ্যে ১১টি করে মোট ২২টি ‘পোর্ট অব কল’ রয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, মোংলা, সিরাজগঞ্জ, আশুগঞ্জ, পানগাঁও, রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি ও বাহাদুরাবাদ এবং ভারতের কলকাতা, হলদিয়া, করিমগঞ্জ, পান্ডু, শিলঘাট, ধুবরী, ধুলিয়ান, মায়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া ও যোগীগোপা।
দু’দেশের মধ্যে ৮টি করে মোট ১৬টি বাংকারিং পয়েন্ট (জাহাজে জ্বালানি নেওয়ার স্থান) রয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের শেখবাড়িয়া, মোংলা, খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও চিলমারী এবং ভারতের কলকাতা, বজবজ, হলদিয়া, নামখানা, করিমগঞ্জ, ধুবরী, যোগীগোপা ও পান্ডু।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির অনুসরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন। দু’ দেশের মধ্যে বিদ্যমান পিআইডব্লিউটিটি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরের পর থেকে নবায়নের ভিত্তিতে অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাঁচটি (আপ-ডাউন হিসেবে দশটি) নৌরুট বিদ্যমান রয়েছে। নৌরুটগুলো হলো- (১) কোলকাতা-কোলাঘাট-হলদিয়া-খুলনা-মংলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পান্ডু-শিলঘাট, (২) কোলকাতা-কোলাঘাট-হলদিয়া-খুলনা-মংলা-চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ-পানগাঁও-ঘোড়াশাল-আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ-বদরপুর, (৩) আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-ময়া-ধুলিয়ান, (৪) বদরপুর- করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল-নারায়নগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পান্ডু-শিলঘাট, (৫) সোনামুড়া-দাউদকান্দি এবং বিপরীতমুখী।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস