Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে মৃত্যু: ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ অক্টোবর ২০২১ ২২:০৭

ঢাকা: চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) পক্ষে এর চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ও সংস্থাটির পরিচালক ইশরাত হাসান এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব না পেলে এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে।’

নোটিশে সালেহ আহমেদ ও সেহরীন মাহবুব সাদিয়া মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে বিবাদীরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু: দায় কার?’ এই শিরোনামে একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমদের পর চট্টগ্রাম নগরীতে নালায় পড়ে সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যুতেও দায় নিতে চাইছে না সিটি করপোরেশন কিংবা সিডিএ।

বিজ্ঞাপন

সরকারি দুটি সংস্থাই একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বলছে, দুদিকে ফুটপাত করলেও খালের মুখটি অরক্ষিত রেখেছে সিডিএ। তাই এর দায় সিডিএর।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ বলছে, খালের মালিকানা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। তাই খালের মুখে সুরক্ষা নিশ্চিতের দায়িত্বও তাদের।

নালা-খালে একের পর এক মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। তারা বলছেন, দায় এড়ানোর এই প্রবণতা প্রমাণ করে সেবা সংস্থার মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো স্বাচ্ছন্দ্যের পরিবর্তে নগরবাসীর ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ। তার খোঁজ আর মেলেনি। তার আগে গত ৩০ জুন ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনায় মারা যান দুজন।

এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছাকাছি নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কয়েক টন আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে ১৯ বছর বয়সী সাদিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।

ওইদিন রাতে যেখানে সাদিয়া পড়ে যান, শেখ মুজিব সড়ক সংলগ্ন সেই খালের মুখটি ছিল খোলা। দুই পাশে ছয় ফুট চওড়া ফুটপাত থাকলেও খালের মুখে তা মাত্র আড়াই ফুট চওড়া।

সরু সেই অংশের উপর দিয়ে হেঁটে পেরোনোর সময় পড়ে যান সাদিয়া। আবর্জনায় ভরা সেই খালের মুখ থেকে সাদিয়া পানির টানে চলে যান শেখ মুজিবের সড়কের নিচে। সেই সড়কের নিচে বক্স কালভার্ট। কালভার্টের স্ল্যাব ভাঙার পর সাদিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন:

নালায় পড়ে ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

এক টন আবর্জনা সরিয়ে ৭০ ফুট গভীর থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

 

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে মৃত্যু

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর