মার্কিন মিশনারিদের মুক্তিপণ হিসেবে জনপ্রতি ১০ লাখ ডলার দাবি
২০ অক্টোবর ২০২১ ১২:৩৯
হাইতির রাজধানী থেকে অপহরণকৃত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ খ্রিস্টান মিশনারির মুক্তির জন্য জনপ্রতি ১০ লাখ ডলার দাবি করেছে অপহরণকারীরা। হাইতির একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এপি’কে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা।
ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৬ অক্টোবর মার্কিন মিশনারিদের অপহরণ করার পর পরই মুক্তিপণের দাবিতে মাওজো গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে ফোন দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান এইড মিনিস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন একব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা এপি’কে বলেন, অপহৃত প্রতিটি ব্যক্তির মুক্তিপণের জন্য ১০ লাখ ডলার দাবি করা হয়েছে।
এপি জানিয়েছে, সম্প্রতি অপহরণের ঘটনায় হাইতিতে ধর্মঘট করেছেন শ্রমিকরা। এ কারণে গত সোমবার থেকে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা দেশটির দূর্বল অর্থনীতির জন্য নতুন এক ধাক্কা। শ্রমিক ইউনিয়ন ও অন্য গ্রুপগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তরে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ মিশনারিদের মুক্তির দাবিতে টাইটানিয়েনের রাস্তা দিয়ে পদযাত্রা করেন। এ সময় অনেক হাতে প্লে-কার্ড ছিল, আর তাতে লেখা ছিল- ‘আমেরিকানদের মুক্ত করুন।’
এর আগে, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স’র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, গত শনিবার (১৬ অক্টোবর) একটি বাস থেকে মিশনারিদের অপহরণ করা হয়েছিল। দলটি একটি এতিমখানা ছেড়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। পথে কয়েকজন সদস্যকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইতিতে শিশুসহ ১৭ মার্কিন মিশনারিকে অপহরণ
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি গত কয়েক মাস ধরে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সীমান্তবর্তী এলাকায় চুরি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান এইড মিনিস্ট্রি বিভিন্ন ধর্মীয় মিশনে পাঠানো একটি বার্তায় জানিয়েছে, অপহৃত দলটি হাইতিতে একটি এতিমখানা নির্মাণ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘তারা এই অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা পররাষ্ট্র দফতরের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি।’
সারাবাংলা/এনএস