Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসলামের নামে ফেৎনা-বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২১ ২০:১৬

ঢাকা: ইসলামের নামে ফেৎনা-বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, এই জনপদে, এই উপমহাদেশে কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি। ওলি-আম্বিয়ারা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে, বুঝিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনেছিলেন। তাই যারা ইসলামের কথা বলে ওলি-আম্বিয়াদের বিরোধিতা করে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে, তারা ফেৎনা বা বিভেদ সৃষ্টিকারী। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২০ অক্টোবর) হিজরি ১৪৪৩ সনের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস তথা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুছ ও শান্তি মহাসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে হানাহানি, দলাদলি বন্ধ করে মানুষকে সুপথে এনে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন মহানবী (সা.)। ইসলামের মূল মর্মবাণী মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা। যারা এই মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো জঙ্গি হয় না, হানাহানিতে লিপ্ত হয় না, ইসলামের নামে কারও ওপর আক্রমণ করে না। কারণ রাসুল (সা.) কখনো ধর্মের নামে কারও ওপর আক্রমণের শিক্ষা দেননি, ইসলাম কখনো সে শিক্ষা দেয় না।

কিন্তু আজ ইসলামের এই মূল মর্মবাণী থেকে সরে গিয়ে অনেকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওলি-আম্বিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে তরুণদের বিপথগামী করছে বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা ইরাকের বাগদাদ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এ দেশে আসেন। এ দেশ যেমন মুসলিমদের, তেমনই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের। এই দেশ আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

বিজ্ঞাপন

এসময় ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বন্ধে ও মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের এই দেশে ঠাঁই হবে না। সরকার এদের কঠোর হস্তে দমন করবে।

বিশেষ অতিথি পীরগঞ্জ সফররত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে যুক্ত হয়ে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরিফের শীর্ষ নেতা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ শান্তি মহাসমাবেশ সফল করার জন্য অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া ও আন্তর্জাতিক সুফি ঐক্য সংহতির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহ সুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

ঈদে মিলাদুন্নবি জশনে জুলুছ ড. হাছান মাহমুদ শান্তি মহাসমাবেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর