বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধন
২১ অক্টোবর ২০২১ ১১:৪৬
ঢাকা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হলো পূর্বাচল নতুন শহরে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)’।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আধুনিক স্থাপত্যের প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ পূর্বাচল প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্য মেলাকে সামনে রেখে ২০২০ সালের শেষ দিকে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর সেই প্রস্তুতি থেমে যায়। এমনকি বাণিজ্য মেলাও আর হয়নি। মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জোড়া আয়োজনের মধ্যে বাণিজ্য মেলা করা যায় কি না, সে পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতির কারণে তা বাদ দিতে হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পূর্বাচল নতুন শহরে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে প্রদর্শনী কেন্দ্র।
এর আগে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক্সিবিশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কাছে হস্তান্তর করা হয়।এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য নির্মিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
চীনের আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মালিকানায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের মাধ্যমে ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি।
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে সেক্টর ৪ এর ৩১২ নম্বর রোডের ২ নম্বর প্লটে ২০ একর জমির ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চায়না ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণকাজ শুরু ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবরে। নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর।
সেন্টারে মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার, এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার, এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গ মিটার। এক্সিবিশন হলে মোট স্টল/ বুথ সংখ্যা হলো ৮০০টি। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯.৬৭ বর্গমিটার। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনা অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি টাকা এবং ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ