বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাজারো পরিবার এখনো পানিবন্দি
২১ অক্টোবর ২০২১ ১৫:১৬
লালমনিরহাট: জেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনো জেলার ৫ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী অব্যাহত থাকলে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বন্যার পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ও কাকিনা মহিপুরসহ বিভিন্ন সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোর অধিকাংশ সড়ক ভেঙে গেছে। পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙে যাওয়ার পর লালমনিরহাটের কাকিনা-মহিপুর-রংপুর সড়ক ভেঙে গেছে বন্যার পানিতে। বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর -লালমনিহাট সীমান্তে মিলনবাজার এলাকায় এ সড়ক ভেঙে যায়। এতে রংপুরের সঙ্গে মহিপুর হয়ে লালমনিরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর আগে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙে লালমনিরহাটের সঙ্গে নীলফামারী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এ বন্যার কারণে লাখো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাজার হাজার ফসলি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেখা যায়, তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, তার ইউনিয়নের সব সড়ক ও ব্রিজ ভেঙে গেছে। হাজার হাজার একর জমির ফসল পানিতে ডুবে আছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তিনি তিস্তা পাড়ে আছেন। পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের সহযোগিতা চেয়েছি।
সারাবাংলা/এসএসএ