আর কত বাড়বে মুরগির দাম
২২ অক্টোবর ২০২১ ১২:৪৭
ঢাকা: ব্রয়লার মুরগির দাম এখনো বাড়তির দিকেই। বাড়ছে দেশি ও সোনালী মুরগির দামও। বেশি দামের কারণে মুরগির বাজারে কেনাবেচাও কমে গেছে। নিয়মিতই তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রাজধানীর নিউমার্কেট ও কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মুরগি বিক্রি করছেন বেশি দামে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
এই দুই বাজারে খুচরায় ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। এর আশপাশের ছোট বাজারগুলোতে ব্রয়লারের দাম আরও বেশি। সেখানে কেজিতে ১৮৫ টাকা চাওয়া হচ্ছে। অথচ সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেও এই মুরগির ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে ২১০ টাকা কেজির সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। দেশি মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছে মানভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। তবে আকারে ছোট দেশি মুরগি আরও কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মাংসের চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম। তাই তারা না চাইলেও মাংসের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
কাপ্তান বাজারের কিশোরগঞ্জ মুরগি বিতানের মালিক আরজু আহমেদ বলেন, গত মাসে মুরগির দাম কম ছিল কারণ মুরগির চাহিদা ছিল কম। কিন্তু লকডাউন তুলে দেওয়ার পর মুরগির চাহিদা বেড়েছে। সে অনুযায়ী উৎপাদন নেই। লকডাউনে খামারিরা যে লস দিয়েছে, এখন সে ঘাটতি পূরণের চেষ্টাও চলছে। এসব কারণেই মুরগির দাম এতোটা বেড়েছে।
প্রাণিজ আমিষের মধ্যে গরু ও খাসির মাংসের দাম অবশ্য স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এই সপ্তাহে গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৬০-৫৮০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে ও আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে। বাজারের সব সবজির মধ্যে এ দুটি সবজির দামই কম। সবচেয়ে বেশি দামের সবজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে।
করলা, পটল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, বরবটি, কচুরমুখি, লতি, বাঁধাকপি, লাউ, শিমের নতুন নিত্য প্রয়োজনীয় সবজিগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। দোকান ভেদে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ে কমে। তবে মহল্লার ভেতর ভ্যানে বিক্রি করা এসব সবজির দাম বাজারের তুলনায় কিছুটা কম।
এছাড়া লাল মুলা, কলমির মতো শাকগুলো ১০ থেকে ১৫ টাকা আটিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে বাজারে দাম বেড়েছে সরু চাল, খোলা সয়াবিন তেল, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, দেশি আদা, জিরা ও দারুচিনির।
বাজারে মোটা থেকে সরু পর্যন্ত যে কয় প্রকারের চাল পাওয়া যায়, তার প্রায় সবগুলোতেই কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে দাম। এছাড়া খোলা সয়াবিন কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, জিরা ৩২০ টাকা, প্রতি কেজি দারুচিনি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সবকিছুর দাম বাড়লেও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে আবার কিছুটা কমেছে। গেল সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সপ্তাহের পেঁয়াজের দাম কমলেও পরের সপ্তাহে আবার বাড়তে পারে।
সারাবাংলা/টিএস/এএম