দাদা মনসুর আলীর বাড়ি গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার নাতি
২২ অক্টোবর ২০২১ ২২:২০
সিরাজগঞ্জ: দাদা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর স্মৃতি বিজড়িত কুড়িপাড়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির হামলার শিকার হয়েছেন নাতি ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন। এ সময় তার গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যানকে মেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল মমিন জানান, শহীদ এম মনসুর আলীর নাতি, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন শুক্রবার বিকেলে কুড়িপাড়ায় দাদা বাড়িতে যান। এসময় তার সঙ্গে শহীদ এম মনসুর আলীর ছোট ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যান সুমন ভিডিও করছিলেন। এ অবস্থায় বেশ কয়েকজন যুবক এসে অতর্কিতে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাড়ির বাইরে তারা গাড়ি চালককেও ব্যাপক মারপিট করে।
ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন বলেন, ‘দাদা শহীদ এম মনসুর আলীর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে এসে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ভেতরে কথাবার্তা বলছিলাম। এসময় কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। আমার ক্যামেরাম্যান ও গাড়ি চালককে ব্যাপক মারপিট করেছে। গুরুতর অবস্থায় দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
শহীদ এম মনসুর আলীর ছোট ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘটনার জন্য এমপি তানভীর শাকিল জয়কে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘ব্যারিস্টার রিপন মনসুর আলীর নাতি। তিনি দাদা বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আসেননি। তাহলে তার ওপর এ হামলা কেন?’
তবে কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা বাইরে ছিলাম। ব্যারিস্টার রিপন তিন গাড়ি ডিবি ও পুলিশ সদস্য নিয়ে এসেছেন। আমরা ভেতরে যাইনি।’
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ব্যারিস্টার শেহরিন সেলিম রিপন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে চলে গেছেন। ক্যামেরাম্যানকে মারপিট করা হয়েছে বলে শুনেছি।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘সীমান্ত বাজার এলাকায় কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।’
সারাবাংলা/এমও