সরকারবিরোধী ‘গোপন বৈঠক’, জামায়াত-শিবিরের ১২ জন আটক
২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৪:২৭
রাজশাহী: সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াত-শিবিরের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা। এসময় আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদী বই, মিছিলের ব্যানার, জামায়াত-শিবিরের সদস্য সংগ্রহ ফরম, ইয়ানত আদায়ের হিসাব বই ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
গ্রেফতার ১২ জন হলেন— মো. মনিরুল ইসলাম (৫০), মো. কলিম উদ্দিন (৬৮), আব্দুল মতিন (২৫), মো. আব্দুল মমিন (২৫), মো. ফয়সাল আহমেদ (২০), মো. আজাহার আলী (৩৫), মো. আবু বক্কর (৪২), মো. আব্দুর রব (৩০), মো. উজ্জল হোসেন (৩৪), মো. আব্দুল হালিম (৩৫), মো. ওবেদ (৫০) ও মো. আবুল হোসেন (৬১)।
ব্রিফিংয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের শাহমখদুম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মনির ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিমের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান চলছিল। এসময় গোয়েন্দা তথ্যে পুলিশ জানতে পারে, পবা থানার পালোপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন সদস্য দেশ ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গোপন বৈঠক করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষ ওই টিম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় অভিযান চালিয়ে গোপন বৈঠক করা অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের ১২ জন সক্রিয় কর্মীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই, মিছিলের ব্যানারসহ জামায়াত-শিবিরের সদস্য সংগ্রহ ফরম, ইয়ানত আদায়ের হিসাব বই ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেফতার এই ১২ আসামির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পবা থানায় এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহা. আব্দুর রহমান।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাজশাহী মহানগরীকে অপরাধমুক্ত করতে এবং সব ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং দেশ ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার নির্মূল করতে আরএমপি কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিকের নেতৃত্বে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী, উপপুলিশ কমিশনার (সদর) মো. রশীদুল হাসান, উপপুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো. সাজিদ হোসেন, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম), উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আরেফিন জুয়েলসহ আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/টিআর