রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১০
২৪ অক্টোবর ২০২১ ১২:৫২
ঢাকা: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে একটি মাদরাসায় গুলি করে ও কুপিয়ে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উখিয়া থানায় মামলাটি করেন ওই ঘটনায় নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি সনজুর মোরশেদ।
নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় ১০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন ৮ -এর সদস্যরা।
রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পরপরই এপিবিএন সদস্যরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হামালাকারীদের একজন ওই ক্যাম্প-১১ এর ব্লক-এ/২ এর বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমান (১৯) কে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ ছাড়াও গতকাল শনিবার দিনভর রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি আছে ৫ জন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— ক্যাম্প ৮ এর আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯-এর নুর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩-এর আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২-এর ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০-এর ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৮)।
এ ছাড়া ঘটনার দিন ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন মুজিবুর রহমান নামে এক রোহিঙ্গা যুবক।
এ বিষয়ে ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (এসপি) শিহাব কায়সার খান বলেন, ‘গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। তাই তাদের মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার ভোরে বালুখালীর ক্যাম্প-১৮তে ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিন শিক্ষক ও এক ছাত্রসহ ছয়জন নিহত এবং কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। কয়েকজনকে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদরাসায় হামলা, নিহত ৬
সারাবাংলা/একে