Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৪৮

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ এবং ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এ সংক্রান্ত আবেদন আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৪ অক্টোবর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন সহকারী শিক্ষকের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত ২০১০ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত আবেদন আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া জানান, ২০১০ সালে সরাসরি নিয়োপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্যে দূর করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পরে গত ২৫ মার্চ বেতন বৈষম্যর দূরীকরণে ২০১০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল হক বাবুল, মো. আব্দুস সালাম, মো. সাফায়েত, মো. মিজানুর রহমান, মীর মোশাররফ হোসেন, কামাল হোসেন, মো. কবির হোসেনসহ ২৫ জন সহকারী শিক্ষক এ রিট দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মহাপরিচালকসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।

উল্লেখ্য, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২০১০ সালে কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল হচ্ছে ১৩ হাজার ৫০ টাকা ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩ হাজার ৭১০ টাকা। এই কারণে প্রতিবছর বেতন নির্ধারণের সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বেতন বৈষম্যর শিকার হন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

বেতন বৈষম্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর