অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাড়ি পৌঁছে দিলো শিক্ষার্থীরা
২৫ অক্টোবর ২০২১ ১২:০২
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন এর স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (রোববার) বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির প্রধানসহ ৩৩জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৩টার দিকে তাদেরকে অবমুক্ত করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এই শিক্ষার্থীরাই।
বিষয়টি সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবরুদ্ধ হওয়া ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন।
আবু জাফর হোসাইন সকালে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা গতকাল বিকেল ৪টার দিকে অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ভিতরে শিক্ষক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তবে রাত ৩টার দিকে মানবিক কারণে আমরা সবাইকে অবরুদ্ধ থেকে অবমুক্ত করে দিয়েছি এবং ম্যাডাম ও নারী কর্মকর্তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসেছি।’
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা আপাতত অনশন-অবরোধ বাদ দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।’ তবে আন্দোলন স্থগিত করার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ আমরা মোট ৩৩ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা গতকাল বিকেল ৪টা থেকে একাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলাম। তবে রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা আমাদের ছেড়ে দেয় ও বাসায় এসে পৌঁছে দিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, এর আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে দ্বিতীয় দফায় আবারও আন্দোলন ও আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারও অনশনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/একে