খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত, তবে বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন: ফখরুল
২৫ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৯
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বায়োপসির পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীতে জানাতে চাই, তিনি এখন বিপদমুক্ত আছেন।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ অক্টোবর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরইমধ্যে সেখানে তার একটি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর জানতে পেরে রোববার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গেই আছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) অবস্থা ভালো না। জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি তাকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।
বাসায় ফেরার পর করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া।
দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। করোনা মহামারির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেড/একে