জামিন মেলেনি আরজে নিরবের
২৫ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের হেড অব সেলসের অফিসার হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নিরবের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
একদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আরজে নিরবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশনস এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে আরজে নিরবের পক্ষে নূর-এ-আলম চৌধুরী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৮ অক্টোবর এ মামলায় আরজে নিরবের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ অক্টোবর লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নামে এক চাকুরীজীবী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, লোভনীয় অফার দিয়ে তিনিসহ তার আরও তিন বন্ধু কিউকম থেকে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৩ টাকার পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু কিউকম তাদের পণ্যগুলো সরবরাহ করেনি।
গত ৮ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে আরজে নিরবকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রতারণার এক মামলায় নিরবের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, কিউকম প্রায় লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য তারা বিজয় আওয়ার, স্বাধীনতা আওয়ার, বিগ বিলিয়ন নামে দুই থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল অফার করতো। ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার অফার পেয়ে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মোটরসাইকেল অর্ডার করতো। কিন্তু সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করায় সব ক্রেতা হতাশ হয়ে কিউকমে যোগাযোগ করে। কিউকম লাভের টাকা ফেরত নেওয়ার অফার করলে তারা লোভে পড়ে। লাভের অংশ থেকে ১০% কিংবা ২০% কমে কি থেকে টাকার চেক গ্রহণ করে।
এ নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের পেমেন্টটি ফোস্টারের কাছে থাকবে, পণ্য ডেলিভারি পর পেমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠাবে ফোস্টার। কিউকমের পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে চেক দেওয়ার বিষয়টি ফোস্টারের নজরে আসে। পরে ফোস্টার কিউকমের সব পেমেন্ট আটকিয়ে দেয়। ফোস্টার এখন পর্যন্ত কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা মোটরসাইকেলের পেমেন্ট আটক করেছে। এ ছাড়া তার কাছে গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারির ২৫০ কোটি টাকা আটকে আছে।
সারাবাংলা/এআই/একে