Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়নি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২১ ২১:১৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি একযুগ ক্ষমতায় থাকার পরও বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্মল চ্যাটার্জি।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে দেশে মুক্তিযুদ্ধে সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে। আশা করেছিলাম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে, সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু চিত্র ভিন্ন। আমরা দেখেছি, নোয়াখালীতে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, প্রশাসন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা কোথায় ছিলেন? আমরা সরকারের আশ্বাস প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।’

কেন্দ্রীয় পূজা উপদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্তও হামলা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘কথিত ধর্মীয় অনুভূতি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সারাদেশে হামলা হয়েছে। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত হোক না কেন, সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।’

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য সমাবেশে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, ’৭২ এর সংবিধানের আলোকে সকল সম্প্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করা, এবারের শারদোৎসব চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হল সহ সারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কর্তৃক দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর, মঠ-মন্দিরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও পূজার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার আইনে আলাদা আলাদা মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, ক্ষতিগ্রস্ত মঠ-মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করা, পূজামণ্ডপ, মঠ-মন্দির, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করে এবং হামলার কারণ অনুসন্ধানে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার জোর দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

দাবি মেনে নেওয়া না হলে পূজা উদযাপন পরিষদ বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাবে বলে মন্তব্য করেন আশীষ ভট্টাচার্য।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ ও পুলক খাস্তগীর, মহানগর পূজা পরিষদের সাবেক সভাপতি চন্দন তালুকদার।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের শক্তি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর