রাজারবাগ পীরের সম্পদ তদন্তে দুদকের বাধা নেই
২৬ অক্টোবর ২০২১ ১২:৪৪
ঢাকা: রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমান এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আদালত পীর দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে, রাজারবাগ দরবার শরীফ ও পীরের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে রাজারবাগ দরবারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শিশির মনির।
এর আগে, গত ১১ অক্টোবর রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজারবাগ পীরের আবেদনে ওপর শুনানি নিয়ে নো অর্ডার দিয়ে মামলাটি আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।
গত ১০ অক্টোবর রাজারবাগ পীরের অনুসারী মফিজুল ইসলাম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন আপিল বিভাগ।
রাজারবাগ পীর এবং তার সম্পদের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই তদন্ত করতে বলা হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে পীরের বিরুদ্ধে রুলও জারি করেছিলেন। রুলে পীর ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সিআইডিকে তদন্ত করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
রাজারবাগ দরবারের কালো তালিকভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন আছে— জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এমন অভিমতের বিষয়ে তাদের জঙ্গিসম্পৃক্ততা আছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করতে বলা হয়।
এছাড়া রিট আবেদনকারীদের অযথা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজারবাগের পীর সাহেব ও তার চক্রের দ্বারা দেশব্যাপী দায়েরকৃত গায়েবি মামলার অনুসন্ধানে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আট ভুক্তভোগীর পক্ষে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীদের মধ্যে সাত বছরের শিশু, ভুক্তভোগী নারী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যবসায়ী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪৯ ‘গায়েবি’ মামলা, নেপথ্যে ‘এক পীর’
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও