ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করার বিপক্ষে আমরা নই: ওবায়দুল কাদের
২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৪১
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করার বিরুদ্ধে নই। ব্যবসায়ীরা কেন রাজনীতি করবে না! জনসেবার ব্রত নিয়ে কমিটমেন্ট নিয়ে রাজনীতি ব্যবসায়ীরাও করতে পারে। কিন্তু ঘৃণা করি রাজনীতি নিয়ে যে ব্যবসা করে। রাজনীতিকে যখন ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেটিকে ঘৃণা করি। রাজনীতি যখন ব্যবসার হাতিয়ার হয় তখন রাজনীতিও থাকে না ব্যবসাও নষ্ট হয়।’
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
‘করোনাকালীন শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা হয়। সভায় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, সদস্য সচিবসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করার বিরুদ্ধে নই। ব্যবসায়ীরা কেন রাজনীতি করবে না! জনসেবার ব্রত নিয়ে কমিটমেন্ট নিয়ে রাজনীতি ব্যবসায়ীরাও করতে পারে। কিন্তু আমি হেইট করি রাজনীতি নিয়ে যে ব্যবসা করে। রাজনীতিকে যখন ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেটাকে ঘৃণা করি। রাজনীতি যখন ব্যবসার হাতিয়ার হয় তখন রাজনীতিও থাকে না ব্যবসাও নষ্ট হয়। দুই দিক থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
ব্যবসায়ীদের রাজনীতি না করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছি না এমন প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমি দেখেছি এই দেশে অনেকে ব্যবসায়ী না হয়েও রাজনীতিতে নেতা হয়ে ব্যবসায়ী হয়ে যান।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগও করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ১৩টা বছর বারোটা দুর্গাপূজা হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পূজামন্ডপ। একবারও কি ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটেছে ১২ বছরে আর এই ১৩ বছরে কারা ঘটাল? সব বেরিয়ে গেছে, থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যারা বাংলাদেশকে একাত্তরে চায়নি, সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন- নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা আজকে দেশে অশান্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।’
‘শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান এদের বিরুদ্ধে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এতগুলো পূজামণ্ডপে হামলা করেছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা করেছে তাদের রেহাই নাই’ বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন অগ্রগতি অর্জনের প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আজকে শুধু বাংলাদেশে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর নন তিনি। তিনি আজ বিশ্ব নন্দিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা। আজ নিছক এক পলিটিশিয়ান নন, শেখ হাসিনা পলিটিশিয়ানের সীমানা পেরিয়ে আজ স্ট্রেটসম্যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে কোথায়? কী ছিল ১৩ বছর আগে? এই বাংলাদেশ ১৩ বছরে কীভাবে এগুলো। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন কুতুবদিয়া থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে অবাক হই কী করে পারেন তিনি? এই নমিনেশন বোর্ডের মিটিংগুলো প্রত্যেকটা ধাপে পাঁচ-ছয়দিন বসতে হয়। বিকেল চারটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। শুধু মাগরিবের নামাজের ১৫ মিনিটের বিরতি। আর সবসময় বসে থাকেন। এরপর উনি গিয়ে চিঠিগুলো সই করেন যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। সকালে উঠে সরকারি কাজ, সকাল থেকে শুরু হয়। আসলে বাংলাদেশের মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে সেই জন্য শেখ হাসিনা জেগেই থাকেন। আমাদের ঘুমের জন্য তিনি জেগে থাকেন এই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সারাবাংলা/এনআর/একে