গণতান্ত্রিক হোক আর সমাজতান্ত্রিক— আন্দোলন হবে ভোটাধিকার ফেরানোর
২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩১
ঢাকা: চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের দ্বারপ্রান্তে গণসংহতি আন্দোলন। আগামী শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনের এই সম্মেলন। ‘ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন’— এই ডাকে সম্মেলনের প্রস্তুতিও অনেকটা গুছিয়ে এনেছে দলটি। চতুর্থ এই জাতীয় সম্মেলনের প্রাক্কালে দলটির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা, আদর্শিক অবস্থান, নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইনি লড়াই, জাতীয় রাজনীতিতে কৌশলগত অবস্থান— এসব বিষয় নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মনির উদ্দীন পাপ্পু।
ঢাকাতেই জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা মনির উদ্দীন পাপ্পু স্কুল জীবন থেকেই যুক্ত ছিলেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। ১৯৯৩ সালে যুক্ত হন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনে। সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার আন্দোলন ও ২০০৪ সালে বুয়েটে সানি হত্যার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন প্রত্যক্ষভাবে। দুই মাস কারাবরণও করতে হয়েছে। ২০০২ সালে গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার সময় ছাত্রনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সম্মেলনের প্রস্তুতি
চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সদস্য সচিব মনির উদ্দীন পাপ্পু সারাবাংলাকে বলেন, ইচ্ছা ছিল গত বছর সম্মেলন করার। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক বছর পর এই সম্মেলন আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে গত এক বছরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম, রাজনৈতিক আলাপচারিতা, সভা-সমাবেশ-পাঠচক্র ইত্যাদি করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করব না, এর একটি নেতিবাচক প্রভাব সংগঠনে পড়েছে। কারণ সব কর্মীই একটি আদর্শের মধ্য দিয়ে চলতে, নির্দেশনা মেনে কাজ করতে চেষ্টা করেন। কর্মসূচি পালন করতে না পারার কারণে এই জায়গায় একটু ব্যত্যয় ঘটেছে। এর ফলে যে গতিতে আমরা গত সম্মেলনটি করেছিলাম, এবার সে গতিতে করতে পারছি না।
‘তবে আগামী দিনগুলোতে আমরা কী করতে যাচ্ছি, সেটি জানার জানতে আমাদের কর্মীরা খুব উদগ্রীব। আমরাও জানাতে চাই, এবারের সম্মেলন থেকে আমরা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচির নির্দেশনা দিয়ে দেবো। এ কারণে এই সম্মেলন ঘিরে কর্মীদের মধ্যে আলাদা আগ্রহ ও উদ্দীপনা রয়েছে। আমরা একটি সুন্দর জমকালো সম্মেলনের আশা করছি,’— বলেন পাপ্পু।
সম্মলেন ও নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা
গণসংহতি আন্দোলনের চতুর্থ এই সম্মেলন থেকে নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে পাপ্পু বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো সম্মেলন থেকে সবাই নতুন কমিটি প্রত্যাশা করে। তিন বছর পরপর যেহেতু সম্মেলন হয়, এই সময়ের মধ্যে অনেকেই সম্ভাবনাময় নেতা হিসেবে গড়ে ওঠেন। কেউ কেউ বাস্তব নানা কারণে নিষ্ক্রিয়ও হয়ে পড়েন। অনেক কমিটি পুনর্গঠন করতে হয়। যেমন— আমাদের অনেকগুলো থানা কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটিও পুনর্গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বেও নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
গণসংহতির রাজনৈতিক পরিচয়
পাপ্পুর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা যে ছাত্র ফেডারেশন নিয়ে, সেটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীও বাম ঘরানা থেকেই রাজনীতি করেছেন দীর্ঘ সময়। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেও বাম রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গণসংহতি আন্দোলন বলছে, তারা নিজেদের বামপন্থি হিসেবে পরিচয় দিতে নারাজ। গণসংহতি আন্দোলনের প্রকৃত রাজনৈতিক পরিচয় তাহলে কী?
এ বিষয়ে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, আমাদের সংবিধানে যে সাম্যের কথা রয়েছে, গণসংহতির রূপরেখার মূলে সেটিই রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে জনগণের যে স্বার্থ, এর বাইরে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। অর্থাৎ যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবে তারা যদি এমন কোনো কাজ করে যা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে, আমরা মনে করি আমাদের সেটির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। সেজন্য যদি আমাদের আন্দোলনের পন্থা সমাজতান্ত্রিক উপায়ে হয় তাহলে সমাজতন্ত্র হবে, যদি সেটি গণতান্ত্রিক উপায়ে হয় তাহলে সেটি হবে গণতন্ত্র।
‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনব্যবস্থা চলছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের প্রধান দিকটি কী এখন? আমাদের যে ন্যূনতম মৌলিক অধিকার, সেই ভোটাধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫ বছর পর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যে নির্বাচন হতো, সেখানে জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত করা হতো, সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটুকুও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন এই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য আন্দোলনের ধারা সমাজতান্ত্রিক কিংবা গণতান্ত্রিক যাই হোক না কেন, আমরা সেটিই করব,’— বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন
রাজনৈতিক দল হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এখনো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়নি গণসংহতি আন্দোলন। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটছে সংগঠনটি। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনকে ‘দলদাস’ হিসেবে আখ্যা দিলেন মনির উদ্দীন পাপ্পু।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পরও আমাদের নিবন্ধন দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৭ সালে যখন আমরা আপিল করলাম, তখন আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। অথচ ১০০ থানায় ২০০ করে সদস্যের ভোটার আইডি, ১০০ থানায় দলীয় অফিস— রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে যা যা ক্রাইটেরিয়া রয়েছে, সবকিছু সপক্ষে আমরা তথ্য জমা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। এরপর আদালতে গেলাম। হাইকোর্ট রায় দিলেন যেন আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়। সেই রায়ের প্রায় দুই বছর হতে চললো, কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের সেই নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। তবে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা নিবন্ধন নিশ্চিত করতে পারব বলে আশাবাদী।
২ দশকের সাফল্য-ব্যর্থতা
প্রতিষ্ঠার পর প্রায় দুই দশক পেরিয়ে এসেছে গণসংহতি আন্দোলন। এই দুই দশকে নিজেদের রাজনৈতিক সাফল্য-ব্যর্থতাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন— এমন প্রশ্নের জবাব পাপ্পু বলেন, সরাসরি সাফল্য না হলেও আমাদের প্রাপ্তির বড় একটি জায়গা রয়েছে। আমাদের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা শিখেছি যে আমাদের বোঝাপড়াটা সঠিক এবং একটি সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা চলছি। আরেকটি কথা বলতে চাই— এই দেশে ইচ্ছা করলেই ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায়, প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়া করা যায়, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বানানো যায়।
তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোর সঙ্গে কিন্তু সংবিধানের সম্পর্ক আছে। সংবিধান অর্থ যেখানে সব নাগরিকের দেখভালের বিষয়ে বলা হবে। কিন্তু সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বলছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবশেষের বাক্য হলো— প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে নিয়োগ দিতে হবে। আসলে কি তাই হওয়া উচিত? প্রধানমন্ত্রী তো শুধু একটি দলের সুবিধা দেখবেন না, দেশের সুবিধা দেখবেন। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে সেই পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আমরাই কথা বলেছি। আলোচনা সভা করেছি। বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের বলার পর বাংলাদেশের অনেকগুলো দল এখন এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে। এটিও আমাদের এক ধরনের সাফল্য। তবে এ বিষয়টি ব্যাপকভাবে আমরা গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পারিনি— এটি আমাদের ব্যর্থতাও বটে। আমরা একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লেগে থাকতে পারিনি— এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক।
কতটা জনসম্পৃক্ততা পেয়েছে গণসংহতি
দুই দশকের রাজনীতিতে নিজেদের আদর্শ বা দাবির সঙ্গে জনগণকে কতটা সম্পৃক্ত করতে পেরেছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের এক ধরনের সাংগঠনিক ব্যর্থতা স্বীকার করে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো ইস্যু ধরে লেগে থাকতে পারলে হয়তো আমাদের সঙ্গে গণমানুষের সম্পৃক্ততা আরও পোক্ত করা যেত। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এমন কিছু ইস্যু চলে আসে যে সেগুলা নিয়ে কথা না বললেই নয়। একসময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ছিল, এখন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতেই হয় আসলে।
তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন আমরা মাসে ২০ দিন প্রেস ক্লাবে প্রোগ্রাম করেছি। আজ এই ইস্যু, কাল ওই ইস্যু। পরবর্তী সময়ে আমাদের মনে হয়েছে— আমরা এসব কী করছি! আমরা নিজেরাই বুঝতে পেরেছি, সব ইস্যুতে কথা বলাটা ঠিক হয়নি। এখন আমরা আমাদের নিজস্ব ধারা নিয়ে আছি। সেই ধারায় কিভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায়, সেই কৌশল নিয়ে আমরা ভাবছি। সবাইকে একই দল করতে হবে, এমন না। তবে আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাতে চাই যেখানে সবাই মিলে আন্দোলন বেগবান করা যাবে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদেরও আমরা একত্রিত করতে চাই। এক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে আমাদেরও আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ জনগণ শক্তির ভারসাম্য দেখতে চায়। শক্তির ভারস্যামের বিষয়ে হয়তো আমরা ছোট দল, কিন্তু আমরা একটি লড়াইয়ের প্রতীক হয়তো তৈরি করতে পেরেছি।
প্রসঙ্গ জোটের রাজনীতি
চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাহলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কি গণসংহতি আন্দোলন জোট করতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পাপ্পু। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আন্দোলনের মাঠে আমাদের সঙ্গে কারও যদি মিলে যায়, আন্দোলনের ভাষা যদি এক হয়, তাহলে সেই দলের সঙ্গে অবশ্যই আমরা কাজ করব। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামি ছাড়া অন্য যেকোনো দলের সঙ্গে জোট হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে।
মনির উদ্দীন পাপ্পু জানালেন, শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে হবে তাদের সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ। উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতারা অতিথি হিসেবে থাকবেন আলোচনা পর্বে। আলোচনা শেষে দলের অভ্যন্তরীণ সেশনে রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। তিন দিনের এই আয়োজন থাকছে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অর্থাৎ প্রথম দিনে প্রেস ক্লাবের উদ্বোধনী অধিবেশনটিই কেবল উন্মুক্ত থাকবে, তিন দিনব্যাপী দলের অভ্যন্তরীণ বাকি কর্মসূচিগুলো চলবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চান— সারাবাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা একটি বার্তাই এখন সবাইকে দিতে চাই— মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা দলগতভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
সারাবাংলা/এসএসএ/টিআর
গণসংহতি আন্দোলন চতুর্থ কেন্দ্রীয় সম্মেলন মনির উদ্দীন পাপ্পু সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সম্মেলনের প্রস্তুতি