ঢাবি শিক্ষকের গবেষণায় চুরির প্রমাণ, শাস্তি নিরূপণে ট্রাইবুনাল
২৮ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫৭
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এই শিক্ষকের শাস্তি বিধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইবুনাল গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানায়, অভিযোগ আসার পর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মেলে বলে জানান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এদিকে সিন্ডিকেট সভায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত ঢাবি শিক্ষক লুৎফুল কবীরের শাস্তি নিরূপণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমতউল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইবুনাল গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গবেষণায় চুরি: ঢাবি ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সেই লুৎফুলকে অব্যাহতি
এর আগে সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুল কবীরের ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক গবেষণার সঙ্গে ২০১২ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর ৯৮% শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুলের এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে