Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইকবাল হেরোইন আসক্ত, কোরআন শরিফ বোঝে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো : কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ শীর্ষক সভায় তিনি একথা বলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সবাই বলেছে কুমিল্লায় কোরআন শরিফ নাকি পায়ের নিচে রাখা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের উসকে দিয়ে একটা অপকর্ম করার পাঁয়তারা করেছে। যে করেছে সে ধরা পড়েছে। সে একজন হেরোইন আসক্ত খারাপ মানুষ। এই হেরোইনখোরের ওখানে যাওয়ার কী দরকার পড়েছিল? সে পবিত্র কোরআন শরীফও বোঝে না, অন্য ধর্মের কিছু বোঝে না। তাকে কেউ না কেউ উসকিয়ে দিয়ে এই কোরআন শরিফ তার হাতে তুলে দিয়ে বলেছে ওই জায়গায় রেখে আস।’

‘কোনো মুসলমান এটি করতে পারে না, করে নাই, হিন্দু ধর্মের মানুষ এটি করতে পারে না, করেনি। যারা করেছে তারা সেই পরাজিত শক্তির একটি গ্রুপ যারা বিভিন্ন সময় আমাদের জাতির স্বার্থ বিনষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছর পর আমাদের নির্বাচন। যখন নির্বাচন আসে তখন ঘটনা ঘটানো শুরু করে। এ কারণেই তারা করে কাজটা যাতে ১২ বছরের উন্নয়ন নস্যাত হয়ে যায়। তারা চায় না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। তাদের প্রতিহত করা কোনো বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।’

‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা বিপক্ষে কাজ করেছিল তাদের অনেকে আজও বিরোধিতা করেন। বঙ্গবন্ধু বিশেষ একটি অংশকে রেখে বাকি সবাইকে মাফ করে দিয়েছিলেন। যাদের মাফ করে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে যারা আছেন তারাই হয়তবা এটির সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলে আমার মনে হয়। বিষয়টি অনেকটা স্পর্শকাতর। তারপরও আমাকে বলতে হয়। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা, পরে একই দিনে ৫০০ জায়গায় গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তারা কারা? প্রতিটা সময় যখনই সুযোগ হয় তখনই কিন্তু তারা এ কাজ করার চেষ্টা করে। আমি বিশ্বাস করি তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ তাহের জাবিরী আল মাদানী, দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মহসিন ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত বড়ুয়া, পালক ক্রাইস্ট চার্চের রেভারেন্ড প্রমোষ চাম্বুগং উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/একে

কোরআন শরিফ দুর্গাপূজা ধর্ম অবমাননা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর