বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত করতে অব্যাহত সংস্কার চায় আইএমএফ
২৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৪৩
ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত করতে অব্যাহত সংস্কার চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অর্থনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে সংস্কার অব্যাহত রাখার ওপর জোর এবং রাষ্ট্র হিসেবে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদায় পৌঁছাতে সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে অগ্রগতি পুনরায় শুরু করার ওপর জোর দিয়েছে তারা।
আইএমএফ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের চমকপ্রদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে, দারিদ্র্য হ্রাস এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অনেক সূচকে দৃঢ়ভাবে অগ্রগতি অর্জন করেছে। মহামারী এই দীর্ঘ সময়ের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে বাধা গ্রস্ত করেছিল। তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের অনুকূল জনসংখ্যা একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ উপস্থাপন করেছে।’ খবর বাসস।
আনন্দ বলেন, ‘এই সংস্কার প্রচেষ্টায় সর্বাগ্রে রয়েছে কর রাজস্ব বৃদ্ধির দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ, যা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তার জন্য সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশকে তার অর্থনীতিকে আরও প্রাণোচ্ছল করে তুলতে সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে এবং এবং রাষ্ট্র হিসেবে উচ্চ মধ্যআয়ের মর্যাদায় পৌঁছতে সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে অগ্রগতি পুনরায় শুরু করতে হবে।’
আইএমএফ মিশন প্রধান উল্লেখ করেন, বেসরকারি বিনিয়োগ ও রফতানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টার সঙ্গে এই সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও প্রাণোচ্ছল করে তুলতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে অর্জনের পরিস্থিতি তৈরি করতে সহায়তা করবে। মহামারির প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আনন্দ জানান, আইএমএফ বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) যৌথভাবে সমর্থন করে একটি পরিকল্পনা চালু করেছে, যা এ বছরের শেষের দিকে প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার কমপক্ষে ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নির্ধারণ করে।
আইএমএফ মিশন প্রধান আরও বলেন, ‘অনুদান এবং ছাড়ের অর্থায়নের আকারে একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অনুপাতের সঙ্গে এর জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। চিকিৎসা সরঞ্জাম, কাঁচামাল ও অবশিষ্ট টিকা রফতানির ওপর বিধিনিষেধ দূর করার মাধ্যমে এটি আরও জোরদার করা উচিত।’
সারাবাংলা/এমও