অত্যাচার করে জনরোষ ঠেকিয়ে রাখা যাবে না: মির্জা আব্বাস
৩০ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩০
ঢাকা: অত্যাচার-অনাচার জনরোষ ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ সময় একটা মন্ত্রীও লম্বা লম্বা কথা বলার সাহস করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, সময় আসবে জনরোষে এই সরকারের পতন ঘটবে। সময় আসবে, জনরোষে একটা মন্ত্রীও লম্বা লম্বা কথা বলার সাহস করবে না। সময় আসবে তারা মাঠে নামার সাহস করবে না।
যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এসে প্রমাণ করেছেন অত্যাচার-অনাচার করে জনরোষ ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, মানুষের অধিকার হরণ করা যাবে না। আসুন আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আমরা সংখ্যায় কম হতে পারি। আমরা এই সরকারকে আর সহ্য করতে পারব না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে তাড়াতেই হবে।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দ্রব্যের দাম বাড়বে আবার কমবে, এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বাড়লে আর কমে না। কারণ তারা (আওয়ামী লীগ) সিন্ডিকেট করে টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, অত্যাচার-অনাচার করে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। সুতরাং আপনিও (শেখ হাসিনা) পারবেন না। যত পেটান, যত মারেন, আমাদের কর্মীদের ক্ষমতা আরও বাড়বে।
মনে রাখবেন যে ছেলের হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন সুস্থ হয়ে সেও কিন্তু আপনার হাত-পা ভাঙতে পারে। আমাদের টাকা দিয়ে গুলি-অস্ত্র কিনেছেন আমাদের মারেন, কিন্তু সাবধানে থাকবেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী, আওয়ামী লীগের না। আপনাদের ঘরেও সন্তান আছে। যাদের গায়ে হাত তুলছেন, ভেবে দেখুন আপনার সন্তানের গায়ে কেউ হাত তুললে কেমন লাগবে। আমাদের টাকায় গুলি কিনছেন, সেই গুলি আমাদেরই মারছেন। কিন্তু একটি সময় আসবে, যখন এই সরকারের পতন ঘটবে। তখন এই সরকারের একজনও মাঠে নামার সাহস পাবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান নাকি লন্ডনে বসে মামলা-হামলা পরিচালনা করছেন। তিনি যদি লন্ডন থেকে এসব পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে দেশে আসলে কী করবেন! সুতরাং কথা বলার সময় বুঝে শুনে বলবেন। আমরাও কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকব না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তিনি বিদেশ যাওয়ার ভিসা পাচ্ছেন না। অথচ কয়েকদিন আগে আমাদের দেশের একজন বিশেষ ব্যক্তি ট্রিটমেন্ট করে দেশে আসলেন। কিন্তু দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসা হয় না। তার অপরাধ, তিনি এদেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। এই দেশের গণ-মানুষের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর সঞ্চালনায় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস