ইথিওপিয়ার কৌশলগত শহর দখলে নেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের
৩১ অক্টোবর ২০২১ ১১:০১
ঢাকা: ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলের কৌশলগত শহর ডেসি দখলে নেওয়ার দাবি করেছে টাইগ্রায়ান বাহিনী। শহরটি টাইগ্রে সীমান্তে অবস্থিত। বিদ্রোহী বাহিনীর মুখপাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা।
তবে টাইগ্রায়ান বাহিনী কর্তৃক ডেসি শহরকে দখল করার দাবি অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়ার সরকার। সরকারের দাবি, শহরটি এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) শহরটির কিছু অংশে তীব্র লড়াই ও বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সরকারি বাহিনী পিছু হটেছে।
আমির নামে ডেসি শহরের এক বাসিন্দা (তিনি পুরো নাম জানাতে অস্বীকার করেন) জানান, ‘গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ২টায় (আন্তর্জাতিক সময় রাত ১১টায়) ইথিওপিয়ান সৈন্যরা এলাকা থেকে পিছু হটতে শুরু করে।’
অপর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, টাইগ্রায়ান বিদ্রোহীরা শহরটিতে প্রবেশ করেছে। তবে এ সময় ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বা সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মুখপাত্র গেটাচেউ রেদা একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’কে জানিয়েছে, টিগ্রায়ান যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীকে ডেসি থেকে কম্বোলচা শহরের দিকে যেতে বাধ্য করেছে। এ সময় অসংখ্য ইথিওপিয়ান সৈন্যকে বন্দি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই টাইগ্রে অঞ্চলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, বিদ্রোহীদের দমন করতে সম্প্রতি বিমান হামলা বাড়িয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবারে চালানো এক বিমান হামলায় ১০ জন মারা গেছেন। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর টাইগ্রের রাজধানী মেকেলে দুটি হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। এ মাসেই অন্য একটি হামলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইগ্রিয়ান বিদ্রোহীদের আমহারা এবং আফার অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে টিপিএলএফ’কে প্রদেশটির ডেসি এবং কম্বোলচা শহর এবং এর আশেপাশে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা টিপিএলফ’কে শহরগুলোতে অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীকে মেকেলে এবং টাইগ্রের অন্যান্য অঞ্চলে বিমান হামলা বন্ধের জন্য পুনরায় আহ্বান জানাই। কারণ, এর মধ্যেই অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই। তাই সব পক্ষকেই পূর্বশর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করতে হবে।’
সারাবাংলা/এনএস